এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ আলী জানান, দয়ানগর এলাকার বাসিন্দা বাবা মানারূল সেখের ছেলে নুর ইসলাম সেখ, সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল। শুক্রবার রাতে বাজারের মধ্যে কুঁড়েঘরে তার ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ দেখতে পাওয়া যায়। তবে তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার কারণ, মৃত নুর ইসলামের দুই হাত অকেজো। সে শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী। তার হাতে কোন কাজ করে না, ফলে সে নিজে নিজে আত্মহত্যা করতে পারবেন না। তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ করেছেন। দেহে ওপরে ও নীচে দাগ আছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন: 'পাইয়ে দেওয়া আর বরদাস্ত নয়', পঞ্চায়েতের আগে এবার কড়া তৃণমূল কংগ্রেস!
তার বাবা জানান, ''আমার ছেলেকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই হাত বিকলাঙ্গ। এমনকি বাড়িতে ভাত তার মা খাইয়ে দেয়। তার মেজো কাকা লালবানু বিবির সঙ্গে বিবাদ ছিল। একাধিকবার গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। আগে কাকার ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল।'' আর সেই পুলের ওখানেই ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বেলডাঙ্গা থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনা খুন নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে বড় অভিযান, শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদক গ্রেফতার! তোলপাড় বাংলা
শনিবার দুপুরে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে দেহ ময়না তদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের হাতে। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন ।