শিল্পীর ৭০ বছর জীবনে এই প্রথমবার তাঁর হাতের তৈরি ডাক পাড়ি দিল বিদেশে। বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রামে মালাকার পাড়ায় ১১ থেকে ১৩ টি পরিবার মা দুর্গার সাজ অর্থাৎ ডাক বানানোর কাজ তাঁরা করেন। তিন পুরুষ ধরে চলে আসা এই শিল্পকে এখনও টিকিয়ে রেখেছেন এখানকার শিল্পীরা। এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এই শিল্পে আসতে চাইছেন না। এই শিল্পের আগামী ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই নিয়ে চিন্তিত শিল্পীরা। জগন্নাথপুর গ্রামের এই ডাক শিল্প তিন পুরুষ ধরে চলে আসছে। সারা বছর ধরেই তারা এই ডাক বানানোর কাজ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন : অনেক হয়েছে ভাত, ডাল! এবার মিড-ডে মিলের পাতে পড়ল চিকেন বিরিয়ানি! খুদেদের মুখে হাসি ফোটাল নদিয়ার স্কুল
এই শিল্প বা এই কর্মের ওপর নির্ভর করে তাদের সংসার চলে। সারা বছর এই দুর্গাপুজোর অপেক্ষায় থাকেন এখানকার শিল্পীরা। কারণ, এই সময় তারা বাড়তি উপার্জনের মুখ দেখেন। এই বছরও কাজের বরাত পেয়েছেন এখানকার শিল্পীরা। সবথেকে খুশির বিষয় হল এই গ্রামেরই ৭০ বছরের লালু গোপাল মালাকারের তৈরি ডাক পাড়ি দিয়েছে সুদূর আমেরিকায়। এ বছর এই প্রত্যন্ত গ্রামের ডাক দিয়ে আমেরিকায় সেজে উঠবে মা দুর্গা । শিল্পী নিজেও কোনও দিন ভাবতে পারেননি যে তার বানান জিনিস যাবে বিদেশে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ডাক বানাতে শিল্পীদের কলকাতা থেকে নিয়ে আসতে হয় কাগজ, চুমকি, শলা সহ বিভিন্ন রকমের জিনিস। সেই দিয়ে শিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হয় মা দুর্গা সহ বিভিন্ন প্রতিমার সাজ। সারা বছর এই শিল্প চললেও পুজোর আগে শিল্পীদের কাজের ব্যস্ততা একেবারে তুঙ্গে। তার ওপর এখন আনন্দের হাওয়া বইছে এই গ্রামে। কারণ এই গ্রাম থেকেই ডাক পাড়ি দিয়েছে বিদেশে। এখন শিল্পীদের পাশাপাশি এই কাজে হাত লাগাচ্ছেন পরিবারের মহিলারাও।