দক্ষিণ পূর্ব রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন যাত্রীদের।রবিবার সাত ঘণ্টার পূর্ণ ট্রাফিক ব্লকের মধ্যে ৫৩৩টি রুটের ইন্টারলকিং কমিশন করা হয়। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল ইয়ার্ড রিমডেলিং, প্ল্যাটফর্ম বৃদ্ধি ও গুরুত্বপূর্ণ লাইন কাটা। পরিকল্পনা মাফিক এই উন্নয়নমূলক কাজ মোট ১৮ দিনে সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
৩০ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত ছিল ১৩ দিনের প্রি-টু-প্রি এনআই পর্ব, তারপর ১৩থেকে ১৭ মে পর্যন্ত চলেছে পাঁচ দিনের প্রি-এনআই, এবং এদিন ১৮ মে ছিল মূল এনআই ও কমিশনিংয়ের দিন।এই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির গতি ও সময়ানুবর্তিতা বাড়বে, তেমনই বড় ট্রেনগুলিও সাঁতরাগাছিতে সহজে প্রবেশ করতে পারবে বলে জানিয়েছিল রেল। যদিও সোমবার সকাল থেকেই দক্ষিণ পূর্ব রেলের এই সিস্টেমে সিগন্যাল সিস্টেম ফেলিওর হয়ে যায়। যার জেরে চূড়ান্ত দূর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। স্টেশনে নেই ঘোষণা। এমনকি অন বোর্ড ঘোষণাও নেই। যার জেরে নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা। সকাল থেকে হাওড়া-পুরী বন্দেভারত এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন-‘শারীরিক সম্পর্ক করলেই ওকে পাবে…!’, নায়িকাকে পরামর্শ পরিচালকের, জানতে পেরে সর্বনাশ! যা করলেন নায়ক…
করমন্ডল এক্সপ্রেস, স্টিল এক্সপ্রেস, পন্ডিচেরী এক্সপ্রেস-সহ একের পর এক দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে চলছে। দেরিতে চলার পরিমাণ এক বা দুই ঘণ্টা নয়, ট্রেন দেরিতে চলছে নূন্যতম ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। পুরী বন্দেভারত এক্সপ্রেসের এক যাত্রী জানিয়েছেন, হাওড়া থেকে দুপুর ১:৪০ মিনিটে ছাড়ে বন্দেভারত এক্সপ্রেস। সেই ট্রেন সাঁতরাগাছি স্টেশন অতিক্রম করে বিকেল ৩:৪৫ এর পরে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, স্টেশনে যাতে ঘোষণা করা হয় যথাযথ ভাবে সেই বিষয়ে জানানো হয়েছে ।