জানা যায়, ১৯৬১ সালে কাশীপুরের রঙ্গিলাডি গোপালচক প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন কাশীপুরের নপাড়া গ্রামের সুবল নন্দী। টানা চল্লিশ বছর শিক্ষকতার পরে ২০০১ সালে অবসর নেন। তারপরে বছর দুয়েক বাড়িতে কাটিয়েছিলেন। কিন্তু মন টেকেনি। ছাত্রছাত্রীদের টানে আবারও চলে যান নিজের গ্রাম নপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে শুরু করেন বিনা পারিশ্রমিকে পড়ানোর দ্বিতীয় ইনিংস। তার পরে পেরিয়ে গিয়েছে চব্বিশটা বছর। নিঃস্বার্থভাবে এখনও প্রতিদিন স্কুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করে চলেছেন পঁচাশি বছরের দাদু স্যর সুবল নন্দী।
advertisement
যতদিন শরীর চলবে ততদিনই বিনা পারিশ্রমিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ার কাজ চালিয়ে যাবেন, জানান দাদু স্যর। ‘দাদু স্যর’ সুবল নন্দী জানান, “চরম দারিদ্রতার সংসারে ছোটবেলায় জীবন কেটেছে তার। আর্থিক অভাবে ঠিকমত পড়াশোনা করতে পারিনি। বাবা-মা অনেক কষ্ট করে পড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। অভাবের কারণে কলেজে পর্যন্ত ভর্তি হতে পারিনি। আর তাই তখন থেকেই তিনি প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলাম বিনা পারিশ্রমিকে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষ করব।”
বর্তমানে দাদু স্যর’ সুবল নন্দী যেন এক বিনা পয়সার শিক্ষক। শুধুমাত্র কেবল সমাজের ভবিষ্যৎ গড়ার নেশায় এবং শিক্ষকতার টানেই অবসরের চব্বিশটা বছর পরেও নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে যান স্কুলে। পাঠদান করান তার প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের।
শান্তনু দাস