শুধু যে সিসি ক্যামেরা দেখে সেই সন্দেহ হয়েছিল, সেটা নয়। বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের অপরাধের আচরণ ভিন্ন রকমের হয়। যেমন পশ্চিমবাংলার জেলাগুলোর ডাকাতরা বেশিরভাগই ডাকাতি করতে গিয়ে খুন জখমের থেকে দূরে থাকে। খুব বাধা না পেলে তারা কারও ক্ষতি করে না।
আরও পড়ুন- ৫০ কিমি বেগে ঝড় আসছে দক্ষিণবঙ্গে! সঙ্গে বৃষ্টি, আবহাওয়ার তাণ্ডব কয়েক ঘণ্টায়
advertisement
এলাকার ডাকাত হলে এলাকার রাস্তাঘাটের নকশা সম্বন্ধে তাদের খুব দক্ষতা থাকে। ব্যারাকপুরের ডাকাতি যে ভিন রাজ্যের ডাকাত করেছিল,সেটা পরিষ্কার হয়ে গেছিল তদন্তকারীদের কাছে।
ডাকাতি করতে এসে খুন করা, এই অভ্যাসটা বিশেষ করে বাংলাদেশী ডাকাত এবং ঝাড়খন্ডের ও উত্তর প্রদেশের ডাকাতদের মধ্যে দেখা যায়। দু চারটি ডাকাতির ঘটনা উল্লেখ করলেই বুঝতে পারবেন।
২০১৭, ২রা এপ্রিল সোনাপুর থানার ঢিল ছড়া দূরত্বে জনবহুল বাজারে ডি এস দেবনাথ জুয়েলার্স নামে একটি সোনার দোকানে ভর সন্ধ্যায় ডাকাতি হয়। ডাকাতির সময় দোকানের মালিক দীপক দেবনাথ ডাকাতদের বাধা দিতে যেতেই তাঁকে চপার দিয়ে আঘাত করে এবং গুলি করেছিল। ঘটনাস্থলাই তার মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।
পরে সেই ডাকাতরা যখন ধরা পড়েছিল, তখন দেখা গেছিল সেই ডাকাতরা বাংলাদেশী। ২০০৮ সালে কাঁচরাপাড়ায় বি দাস জুয়েলার্সে ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত দল ডাকাতি করতে ঢুকেছিল। সেই সময় সোনার দোকানের মালিকের স্ত্রীকে ডাকাতরা চারতলা ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন- পুরো সিনেমার গল্প যেন! ব্যবসায়ীর ছেলেকে কিডন্যাপ করে দাবি ৫০ লাখের মুক্তিপণ
পরে সুত্র মারফত খবর পেয়ে বীজপুর থানার পুলিশ উত্তর প্রদেশ থেকে শিশু পাল নামে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছিল। সেইসব ডাকাতরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কাপড় এবং বেড কভার ফেরির কাজ করত।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে ভিন রাজ্য কিংবা বাংলাদেশী অপরাধীরা গোপনে বিচরণ করছে তাতে অপরাধ নির্ণয় করতে গিয়ে কাল ঘাম ছুটছে পুলিশের। তবে এই অপরাধীরা বেশিরভাগই পুলিশের ক্রাইম ইনডেক্সে নেই।