প্রবল ঘূর্ণিঝড় নিয়ে দুশ্চিন্তা কমেছে ঠিকই, কিন্তু রয়েই গিয়েছিল বন্যার আশঙ্কা। বাস্তবে তা ফলতেও শুরু করেছে। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে ওড়িশা উপকূলে। ‘ইয়াসের’ ল্যান্ডফল না হলেও বাংলায় উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে ভেঙেছে একাধিক নদী বাঁধ। হু হু করে জল ঢুকছে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা গুলিতে। উত্তাল সাগর। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা।ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। সকাল থেকে নদীগ্রামের সাউদখালি, সোনাচুড়া জুড়ে চলছে ঝোড়ো হওয়াও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ৫১টি নদীবাঁধ ভেঙেছে। প্লাবিত ৭০ কিলোমিটার এলাকা।
advertisement
কন্ট্রোলরুম থেকে এই পরিস্থিতিতে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সকালে ইয়াস ল্যান্ডফল শুরু হতেই তিনি বলেন, "বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি। সব মিলিয়ে ১৫ লক্ষ লোককে আমরা বের করতে পেরেছি। ভরা কোটালে ডুবে যাচ্ছে বহু এলাকা। জলের যে তোর দেখতে পাচ্ছি তা ভয়াবহ। প্রতি বছর এটা একটা ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিঘা থেকে লোক সরাচ্ছি। ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ। চারদিকে নজর রাখা হচ্ছে। আজকের দিন কষ্ট করে হলেও সাইক্লোন সেন্টারে থাকতে হবে।"
এ দিন, সকাল ৯টা থেকে ইয়াসের ল্যান্ডফল (Cyclone Yaas landfall) প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানাল মৌসম ভবন। বালাসোর ও ধামড়ার মধ্যে ল্যান্ডফল শুরু হল ইয়াসের। কয়েক ঘণ্টা ধরে এই প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বুধবার দুপুরের মধ্যে শেষ হবে এই ল্যান্ডফল।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আসার আগেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০টি জেলায় নামানো হয় সেনা। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পুরুলিয়া, বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি ও নদিয়ায় ১৭ কোম্পানি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিভিক ভলান্টিয়ার, অফিসার সহ ৩ লক্ষ পুলিশ মোতায়েত করা হয়েছে।