TRENDING:

Cyclone Remal Effect: প্রতিশ্রুতিই সার! বছর বছর ঘূর্ণিঝড়ে বিপন্ন সুন্দরবন, তবু হয় না পাকা বাঁধ

Last Updated:

Cyclone Remal Effect: বহু চাষের জমি ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। ফলে অন্য কোথাও গিয়ে ঘর বাঁধার রসদও নেই তাঁদের। যদি ওই অসহায় মানুষগুলো আমার আপনার মতই ভোটার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আয়লা, ইয়াশ, আমফান, ফণী’র পর রিমল। একের পর ঘূর্ণিঝড় আসে আর সুন্দরবন বিধ্বস্ত হয়। আবার সময় বয়ে চলে যায়। তবুও বাঁধ মেরামত হয় না। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট এবং নদী ও সমুদ্রের নোনা জল চাষের জমিতে ঢুকে সর্বশান্ত হয় এখানকার দরিদ্র মানুষগুলো। সেইসঙ্গে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে গরিব মানুষগুলো মাটির বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়।
advertisement

আয়লায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছিল গ্রামে। বহু মানুষের সঙ্গে ভেসে গিয়েছিল তাঁদের বাড়িঘরও। সবকিছু সামলে যখন একটু থিতু হয়েছেন তখনই আমফান, ইয়াসের মত ঝড় আবার আছড়ে পড়ে সুন্দরবনের উপর। ইয়াসে বাঁধ ভেঙে আবার সব ভেসে যায়। ভাগ্যিস দিনের বেলায় বাঁধ ভেঙেছিল, না হলে কী যে হত! তারপরে আবার এই রিমলের তাণ্ডব। আবারও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে সুন্দরবনের মানুষ।

advertisement

আরও পড়ুন: ওভারটেকের বলি! বৃষ্টিভেজা রাস্তায় ভয়াবহ পরিণতি

পর্যটন মরশুমে সুন্দরবনের এই সমস্ত এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা যথেষ্ট বাড়ে। ছোটখাটো ব্যবসা, হোটেলের কাজ করেই জীবনযাপন করেন এখানকার মানুষজন। কারণ এর বাইরে রোজগারের অন্য সুযোগও তেমন একটা নেই। এখানকার বহু চাষের জমি ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। ফলে অন্য কোথাও গিয়ে ঘর বাঁধার রসদও নেই তাঁদের। যদি ওই অসহায় মানুষগুলো আমার আপনার মতই ভোটার। প্রতিটা নির্বাচনের আগে নেতারা তাদের বাঁধ সরানোর প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোট মিটে গেলে সুন্দরবনবাসী যে তিমিরে ছিল সেখানেই থাকে। কাজের কাজ কিছুই হয় না। তাই বছর বছর একটা করে ঘূর্ণিঝড় আসে আর সুন্দরবনকে আরও কিছুটা বিপন্ন করে দিয়ে চলে যায়।

advertisement

বাম শাসনকালে আয়লার পর সুন্দরবনে কংক্রিটের নদীবাঁধ তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৫০৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কাজও শুরু হয়েছিল অনেক জায়গায়। কিন্তু ২০১১ সালে বামেদের বিদায়ের পর সেই কাজ কার্যত থমকে যায়। তৃণমূলও বাঁধের কাজ শুরু করেছিল। বহু জায়গায় বাঁধ তৈরির জন্য জমিও অধিগ্রহন হয়। কিন্তু মাত্র ১ হাজার কোটি টাকার মত কাজ করার পর বাকি কাজ করার কোন‌ও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি বলে রাজ্য প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তাই প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রে ফেরৎ চলে যায়।

advertisement

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী সুভাষ নস্করের দাবি, তৃণমূল সরকারের উদাসীনতার কারণেই আজও ভুগতে হচ্ছে সুন্দরবনের মানুষকে। এলাকার তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের উপাধক্ষ্য বলেন বহু জায়গায় সরকার কংক্রিটের বাঁধ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে যে এলাকায় বাঁধের খারাপ অবস্থা রয়েছে সেগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে বাঁধের কাজ করা হচ্ছে। কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় সুন্দরবনের নদীবাঁধের কাজ কিছুটা হলেও থমকে গিয়েছে। পঞ্চায়েতগুলি ১০০ দিনের কাজের টাকায় বাঁধের সংস্কারের কাজ করে, সেটা ব্যহত হচ্ছে।

advertisement

কেন কংক্রিটের বাঁধ হল না তা নিয়ে সুন্দরবনে লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক তর্জা জমে উঠেছে। কিন্তু এখানকার অসহায় মানুষগুলো রিমলের দাপট কমতেই নিজেদের উদ্যোগে নেমে পড়েছেন বাঁধ সারাতে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

সুমন সাহা

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Cyclone Remal Effect: প্রতিশ্রুতিই সার! বছর বছর ঘূর্ণিঝড়ে বিপন্ন সুন্দরবন, তবু হয় না পাকা বাঁধ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল