যদিও অনেকেই মনে করছেন এই চেষ্টা বৃথা। হাজার হাজার টাকা খরচ করে চারা পুঁতে গায়ে গতরে খেটে ফুল ফোটানো তাঁদের কাজ। এই ফুল বিক্রি তাদের সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন। এতো পরিশ্রম ও খরচের পর বাগান বাঁচানোর চেষ্টা তো করতেই হবে। ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে ডালপালা ভেঙে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে গাঁদা, দোপাটি, অপরাজিতা, ফুলবাহার ইত্যাদি ফুলের গাছ। এখনও জল জমে রয়েছে চাষের জমিতে। যা ভীষণভাবেই ফুল চাষের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর।
advertisement
আরও পড়ুন: স্রোত হারানো নদীর সংস্কার? ভুল ভাঙতেই স্থানীয়রা যা দেখলেন
ফলে দিন দশেকের মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতির পরিমাণ জানতে পারবে চাষিরা। বাগনান রামচন্দ্রপুর এলাকায় প্রায় পাঁচশো কৃষক, যাদের রুটি-রোজগার চাষবাস রিমলের প্রভাবে পরবর্তীতে গাছের ডালপালা ভেঙে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গোড়া প্রায় পচে গেছে। তবে বিভিন্ন কীটনাশক ও বায়োসার প্রয়োগ করছেন চাষিরা। যাতে কিছুটা পরিমাণ হলেও গাছ বাঁচিয়ে ক্ষতির পরিমাণ কম করা যায়।
এই প্রসঙ্গে কৃষক সুফল জানা, বিশ্বজিৎ ঘোষ, মাধব মণ্ডল জানান, এইভাবেই দিন চলে আসছে। বারবার প্রকৃতির প্রকোপে বেশি পড়তে হয় চাষিদের। সরকারি ক্ষতিপূরণ থাকলেও কোনও চাষি পায়, আর কোনও চাষি পায় না। তাই সংসার চালানোর কথা ভেবে আরও হতাশ হচ্ছেন তাঁরা ।
রাকেশ মাইতি