নদিয়ার শান্তিপুর শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর চর এলাকায় অলকা মাহাতোর টিনের ঘর সম্পূর্ণ চাল উড়ে গিয়ে পড়ে মাঠের চাষের জমিতে। ঘরে তখন ঘুমাচ্ছিলেন ছেলে দেবাশিস, বৌমা বিথিকা এবং দুই নাতি যাদের বয়স সাড়ে তিন এবং ছয় বছর।
advertisement
ওই রাতেই দু-একজন প্রতিবেশী এসে তাঁদের কৃষিজাত ঔষধের ব্যবসার জিনিসপত্র বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচায় এবং ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্র কোনওরকমে প্লাস্টিক ঢেকে রক্ষা করে। তবে আতঙ্কে দু’চোখের পাতা এক হয়নি। এলাকারই পার্শ্ববর্তী পাড়ার সিভিল ডিফেন্স কর্মীর বাড়ি। তিনি ডিউটি অবস্থায় না থাকা সত্ত্বেও মানবিক কারণে ছুটে এসে ওই পরিবারের পাশে যোগাযোগ করে জেলা কন্ট্রোল রুম এবং এসডিডিএমও আধিকারিকের সঙ্গে। সেখান থেকেও পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস মেলে।
অন্যদিকে স্থানীয় কাউন্সিলর বিকাশ চন্দ্র সাহা আপাতত পুরসভার পক্ষ থেকে দু’টি ত্রিপল দিয়ে তাদের সাময়িক সহযোগিতার কথা বলেন, তবে গৃহ আবাস যোজনার বিষয়ে তালিকাভুক্ত আছে বলেই জানান তিনি। ওই বাড়ির এক শিশু থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। সে বিষয়েও স্থানীয় রক্তদাতা সংস্থা হিসেবে সুনামের সঙ্গে জেলা ভিত্তিক কাজ করা সেতুর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, ওই বাচ্চাকে তাঁরা দুর্যোগের মধ্যেই গাড়ি করে রক্ত দিয়ে নিয়ে আসবেন।
Mainak Debnath





