উৎসবের উদ্দীপনায় দর্শকদের চমকে দিতে কানাইলাল পল্লী তৈরি করেছিল প্রায় ৭৫ ফুট উচ্চতার বিশাল মণ্ডপ, যার সামনে ছিল ফাইবারের তৈরি জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এই অভিনব নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল পুজো কমিটি। কিন্তু অতিরিক্ত উচ্চতার কারণে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় হঠাৎই ফাইবার স্ট্রাকচারটি উলটে পড়ে মণ্ডপের উপর, তখন মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন দর্শনার্থী ও বিচারকরা। মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে হাহাকার। ঘূর্ণিঝড়ের আগমনের আবহে হঠাৎ হঠাৎ দমকা হাওয়ায় হয়ে গেল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
advertisement
আধার কার্ড কেন বাদ? তুমুল বাকবিতণ্ডায় ‘রণক্ষেত্র’ সর্বদলীয় বৈঠক! ৩ দলের মুখোমুখি সংঘাত
ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’য় কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলা? নবান্নে জরুরি বৈঠক, কী কী সতর্কতা?
পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকার্য শুরু করেন। মুখ্যসচিবের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন ও দমকলও তৎপর হয়ে ওঠে। এই পুজোর মূল আকর্ষণ ছিল “বিশ্বের সবচেয়ে বড় জগদ্ধাত্রী” প্রতিমা — প্রায় ৭৫ ফুট উচ্চতার ফাইবার ও রেজিনের কাঠামো, যার ভিতরে থাকত ১৩ ফুটের মৃন্ময়ী প্রতিমা। দত্তপুকুরের শিল্পীরা ফাইবার কাস্টিংয়ের মাধ্যমে এই প্রতিমা তৈরি করেছিলেন। ফাইবারের টুকরোগুলোকে লোহার ফ্রেমে আটকিয়ে সাজানো হয়েছিল জগদ্ধাত্রী, সিংহ, হাতি ও চালচিত্রসহ ব্রহ্মা–বিষ্ণু–মহেশ্বরের মূর্তি।
কানাইলাল পল্লী সর্বজনীনের সম্পাদক মনোজ বর্মন জানান,
“কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গা তৈরি করেছিল, আমরা চন্দননগরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জগদ্ধাত্রী বানাচ্ছিলাম। প্রশাসনের নির্দেশ মেনে মণ্ডপের উচ্চতা কমানো হয়েছে। কিন্তু দমকা হাওয়ায় দুর্ঘটনাটা ঘটে যায়।”
প্রশাসনের একাধিক গাইডলাইন মেনে চলার পরও এই দুর্ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। পুজো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে।চন্দননগরবাসীর কাছে এবারের এই দুর্ঘটনা শুধুই এক মণ্ডপ ধস নয়— এক গর্বের স্বপ্নের ভাঙনও বটে।
