বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এমন পরিবারগুলিকে নিরাপদ স্থানে তুলে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা বারোটা পর্যন্ত ১৬৫টি পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মেমারির ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে একটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এছাড়াও পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লক ও কালনার বেশ কয়েকটি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
advertisement
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত 118. 8 মিলি মিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। গতকাল দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটানা 75 -80 কিলো মিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। তাতেই বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। যে সব বাড়ি পুরোপুরি বা আংশিক ক্ষতি হয়েছে সেই সব পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ওই সব পরিবারকে ত্রিপল ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। এদিকে আমফানের প্রভাবে এক টানা বৃষ্টির জেরে অনেক নিচু এলাকা জল বন্দি হয়ে পড়েছে। জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে কৃষি জমিতেও। অনেকে আমফানের আশঙ্কায় আগেভাগে ধান কেটে ছিলেন। কিন্তু সেই ধান তুলে আনতে না পেরে মাঠেতেই গাদা দিয়ে রাখা হয়েছিল। এইসব ধানও এখন এক হাঁটু জলের তলায়। ওই ধান ভিজে গিয়ে তাতে কল বেরিয়ে যাবে। তার আর দাম মিলবে না বলে মনে করছেন কৃষকরা।
Saradindu Ghosh