সকালে যখন আমায় ছেলে ঘরের বাইরে নিয়ে যায় তখন আমার পায়ে লাগে। ভাঙা টিন, অ্যাসবেস্টর সব তো ভেঙে পড়ে আছে। ঝড়ের দাপটে কতটা ক্ষতি হয়েছে এভাবেই বুঝতে পারেন আলাউদ্দিন। আশে পাশের লোকজনের কথাও তার কানে আসে। প্রতিবেশীরা যে যার মতো পারছেন তাকে সাহায্য করছে। কিন্তু নিজের চোখে চারিদিকে কী ঘটে চলেছে তা দেখতে পাচ্ছেন না। তবে তার বাড়ি যে আর আগের অবস্থায় নেই, সেটা ভালোই বুঝেছেন। তাই বারবার ধরে বলছেন, প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমার যদি আমার মতো ব্যক্তিকে সাহায্য করা হয়। তার বাড়ির ওপরে গাছ ভেঙে পড়েছে। অ্যাসবেস্টর ভেঙে রাস্তায় পড়ে আছে। বিদ্যুৎ নেই। ফলে কষ্ট করেই সাহায্যের জন্য এর ওর কাছে সাহায্য চাইতে হচ্ছে অন্ধ আলাউদ্দিনকে। আলাউদ্দিনের স্ত্রী অনিমা বিবি জানাচ্ছেন, "ঝড়ের দিনে তারা কাছের স্কুল বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে খাবার পেয়েছিলেন সরকারি সাহায্যে।" ব্যাস ওই টুকুই তারপর কেউ ঘুরেও তাকাল না।
advertisement
এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গিয়েছিলেন তাদের বাড়ির সামনে। যদিও কেউ বাড়ির দাওয়ায় যাননি। অশক্ত শরীরে, অন্ধ মানুষের পক্ষে হাজারো ভিড়ের মাঝে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে অন্ধকারকে সম্বল করেই দিন গুজরান করছেন আলাউদ্দিন। যার চোখে ও ঘরে আলো নেই। ভাঙা ছাদ দিয়ে ছিটকে আসা আলো, যার চোখে লাগেনা।
ABIR GHOSHAL