আর এমনই ঘটনার সাক্ষী নব ব্যারাকপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। আর সেই সমস্যার সমাধানে নেমেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ প্রশাসনের। এ যেন সেই জামতারা গ্যাঙের ছায়া। ইতিমধ্যেই সেই সোনার দোকানে অনলাইন প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে দুই অভিযুক্ত। তাদের জেরা করেই বেরিয়ে এসেছে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় এই চক্রের জাল ছড়িয়েছে সুদূর বিহার, ঝাড়খান্ড, মণিপুর, সিকিম, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ-সহ অন্যান্য রাজ্যেও।
advertisement
আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য সুখবর! প্রায় দেড় মাস পর খুলছে উত্তর সিকিম, আজই বুক করুন
উদ্ধার হয়েছে একাধিক আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং প্যান কার্ড। আর তার সঙ্গেই একাধিক ডেবিট ক্রেডিট কার্ড-সহ ব্যাঙ্কের পাস বই। আর এইসব কার্ড ব্যবহার করেই জিনিস কিনে আর্থিক প্রতারণার জালে জড়িয়ে ফেলে বহু মানুষকে। অভিযুক্তরা জামতারা গাঙের সংস্পর্শে ছিল বলেও মনে করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। উদ্ধার হয়েছে ৭ টি মোবাইল, আই ফোন থেকে বোতাম টেপা ফোন। এবং একটি স্কুটিও, যেটির রেজিষ্ট্রেশন বারাসত মটর ভেইকেলস থেকে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১০০ টাকারও কম খরচে দিঘা পৌঁছে যাবেন, অবাক লাগছে? এখনই জানুন
উদ্ধার হয় প্রচুর নথিসহ স্ট্যাম্পও। ঘটনার পর অভিযোগকারী স্বর্ণ ব্যবসায়ী অমিত পালের ব্যবসায়িক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি ফ্রিজ করতেই টনক নড়ে। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ফ্রড ট্রানজাকশনের কারণেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয় ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। গোটা ঘটনা জানিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন অমিতবাবু। আর্থিক প্রতারণার শিকার হলেও যাতে আর কোনও ব্যবসায়ী এভাবে বিপদে না পড়েন তার জন্যই সচেতন হওয়ার আবেদন জানান তিনি।
Rudra Narayan Roy
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F