দেশীয় ধান খেতে ভাল। আর তাই এবার দেশীয় ধানকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। তারা ইতিমধ্যে তাদের ফার্মে ২২টি প্রজাতির দেশীয় ধানের চাষ করে খুব ভাল সাফল্য পেয়েছে। এখানে খেউস, তুলাইপাঞ্জি, খেজুরছড়ী, কেরালা সুন্দরী, কালা ভাত, চিনা কামিনী, কালো নুনিয়া, মোহন ভোগ, গোবিন্দ ভোগ, কমলা ভোগ, হরিনা খুড়ি, তাল মুগুর, তালদি, জঙ্গল মুরা-সহ একাধিক দেশীয় ধানের চাষ হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নদীর চরে জন্মানো আগাছা দিয়ে দুর্দান্ত বিজনেস আইডিয়া! বিদেশে ব্যাপক চাহিদা, আগাছা থেকেই অঢেল আয়
এই চাষের বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের তরফে। এ ব্যাপারে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিশেষজ্ঞ ডক্টর সোমনাথ সরদার বলেন, “আগে আমরা গ্রামাঞ্চলে দেশীয় ধানের চাষ হত দেখতাম। কিন্তু বর্তমানে দেশীয় ধানের চাষ সে ভাবে হয় না। তাই আমরা এই চাষকে আবার ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই জাতীয় ধানের চাষে রোগ পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। তবে কেরালা সুন্দরী, মালাবতী প্রজাতির ধানের ফলন তুলনামূলকভাবে কম হয়। কেরালা সুন্দরী, কমলা ভোগ জাতীয় প্রজাতির ধানে ভাল ফলন হয়। এই জাতীয় ধান ২০০ সেমির মতন লম্বা হয়। নিচু জমিতেও এর ভাল ফলন হয়। ১৬০- ১৬৫ দিনের মধ্যে এই ধানের ফলন সম্পূর্ন হয়ে যায়। কৃষকরা সঠিক বীজ পেলে আবার দেশীয় ধানের ফলন বাড়বে সুন্দরবনে।





