পারিবারিক অশান্তির কারনে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন সুরঞ্জন হালদার। বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুরবাড়ির সামনে হঠাৎই পুকুরে একটি দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হলে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। দেখা যায় মৃতদেহটি সুরঞ্জন হালদারের। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। মৃত সুরঞ্জন হালদারের পরিবারের অভিযোগ স্ত্রী ও শাশুড়ি খুন করেছে।
advertisement
অভিযোগ প্রায় দিনই স্ত্রী ও শাশুড়ি অত্যাচার করত মারধর করত। মৃতের বাবা চরণ হালদার বলেন, পারিবারিক অশান্তির আমার ছেলে ১০ বছর ধরে শ্বশুরবাড়িতেই থাকত। আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু যখনই ওর সঙ্গে দেখা হত দেখতাম শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। আমাদের বলেছিল ওর স্ত্রী ও শাশুড়ি ওকে মারধর করত। ওরাই আমার ছেলেকে খুন করেছে। আমি বিচার চাই।
আরও পড়ুন, সুগার ৩৫০, কিডনির রোগ থার্ড স্টেজ! জেলে একী অবস্থা জ্যোতিপ্রিয়র.. আবারও কি হাসপাতালে?
আরও পড়ুন, সিনেমার শ্যুটিং ভেবেছিলাম… ভক্তকে মারধরের ভিডিও ভাইরালের পর বিস্ফোরক দাবি নানা পটেকরের!
মৃতের মা সাগরি হালদার বলেন, আমার ছেলের স্ত্রী আর শাশুড়ি ওকে খুব অত্যাচার করত। না খেতে দিয়ে বাইরে বের করে দিত। আমার ছেলেকে ওরাই খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। আমি ওদের শাস্তি চাই।
যদিও মৃতের স্ত্রী চুমকি হালদার বলেন, আমার স্বামী জুয়াতে অনেক টাকা জিতেছিল। কালীপুজোর দিন বাড়িতে অশান্তি করে বেড়িয়ে যায়। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি কোনও যোগাযোগও হয়নি। আমি চাই আমার স্বামীকে যে বা যারা খুন করেছে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক।