পুলিশ সূত্রে খবর, বালুরঘাটের কুণ্ডু কলোনি এলাকার বাসিন্দা সুমন মাহাত মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে পতিরামের বয়রাকুড়ি এলাকায় যায়। সেই সময়ে রাস্তায় ছাগল চড়াচ্ছিল তিনটি আদিবাসী শিশু। অভিযোগ, যুবকটি প্রথমে শিশুদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। কথার মাঝেই মোবাইলে ভিডিয়ো দেখিয়ে ফুসলিয়ে দুই শিশুকে বাইকে বসায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা উধাও হয়ে গেলে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় গোটা গ্রামে। একইসঙ্গে এই ঘটনার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি এলাকায় ছুটে যায় ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ এবং পতিরাম থানার ওসি সৎকার সাংবোর নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশের তৎপরতায় নাজিরপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই দুই শিশুকে। আটক করা হয় অভিযুক্ত যুবককেও।
advertisement
ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ বলেন, “আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অপহরণের স্পষ্ট প্রমাণ এখনও মেলেনি, তবে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
ঘটনার খবর পতিরাম থানার পুলিশের কাছে পৌঁছতেই জেলাজুড়ে শুরু হয় পুলিশের নাকা চেকিং। ঘটনার খবর চাউর হতেই উত্তেজিত কয়েকশো গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে নাজিরপুর এলাকায় পুলিশকে ঘেরাও করে। তাদের দাবি, অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দিতে হবে। যদিও সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে গ্রামবাসীদের শান্ত করেন ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ।গণপ্রহারের হাত থেকে যুবককে বাঁচিয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। দুই শিশুর মেডিক্যাল টেস্ট-এর পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পতিরাম থানার পুলিশ। শিশু দু’টিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।