বিজেপি-র ছোঁয়াচ এড়িয়ে চলতে চাওয়া সিপিএম নেতারা অবশ্য শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে কড়া মনোভাব নিয়েছিলেন৷ এবার বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সমবায় ভোটে লড়ার অভিযোগে দলের দশজন নেতাকে বহিষ্কার করল পুর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তদন্ত কমিশনও গড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি।
advertisement
আরও পড়ুন: 'কলকাতার নরেনই গুজরাতের নরেন্দ্র মোদি', দাবি রাহুল সিনহার! বদ্ধ উন্মাদ বলে কটাক্ষ কুণালের
তৃণমূলনেত্রীর মুখে বার বারই রাম-বাম জোটের কথা শোনা যায়৷ নন্দকুমার মডেল সামনে আসার পর রাজ্যের অন্যত্রও নিচুতলার নেতারা এই একই পথ অবলম্বন করতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল সিপিএম নেতৃত্বের৷ সম্ভবত সেই প্রবণতা ঠেকাতেই এত কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল৷ সমবায় ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া যাবে না বলে লিখিত নির্দেশিকা দেওয়ার পাশাপাশি কড়া পদক্ষেপ নেওয়াও শুরু করলো পুর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএম নেতৃত্ব।
সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি এই বিষয়ে বলছেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের কথা। সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৯১৩ ধারা অনুযায়ী জোটে সামিল দলীয় সদস্যদের বহিষ্কার করা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, দলের তরফে বহিষ্কৃতদের নামের তালিকা প্রকাশ করে লিফলেটও ছড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: 'শুনছি উনি ৫ তারিখ দিল্লি যাবেন... তার আগেই...' ডিসেম্বরের শুরুতে বিরাট পরিকল্পনা ঘোষণা শুভেন্দুর
সমবায় নির্বাচনে কোনও দল সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে না। তবে নন্দকুমারের সমবায় নির্বাচনে বাম-বিজেপির নিচুতলার কর্মীরা একটি যৌথ মঞ্চ তৈরি করে সমবায় ভোটে লড়েছিল। তৃণমূল সেখানে দাঁত ফোটানোর সুযোগ পায়নি। সেই থেকেই তৃণমূল শিবির রাম-বাম জোটের তত্ত্ব উস্কে দিতে শুরু করেছিল।
পরবর্তী সময়ে বর্তমানে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই গঠরা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনেও ওই একই ‘মডেল’-এর পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর সেখানে ভোট রয়েছে। আর তার আগেই কড়া সিদ্ধান্তে নিল জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। তবে সিপিএমের এই পদক্ষেপকে গুরুত্ব দিতে চায়নি তৃণমূল ও বিজেপি।