জানা গিয়েছে, বালির নিশ্চিন্দা ঘোষপাড়ায় নিজের স্কুল মিথিলা বালিকা বিদ্যালয়ের একটি বুথে ভোট চলছিল। দীপ্সিতার অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে বুথে এসে উপস্থিত হন। হামলা চালানো হয় দীপ্সিতা এবং এলাকার সিপিএম পঞ্চায়েত প্রার্থী আশিস কংসবণিকের উপর।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের অনায়াস জয় নাকি বিজেপির ঝুলিতে যাবে আসন? রাজ্যসভা নির্বাচন নিয়ে বড় খবর
advertisement
দীপ্সিতার বক্তব্য, ‘ওদের পরিকল্পনা ছিল আমাদের মারধর করে বুথ দখল করার। যদিও সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি’। শেষ পর্যন্ত বুথ আগলে রাখা গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন সিপিএন নেত্রী। অন্যদিকে, ছাপ্পা ভোট আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হন দীপ্সিতার মা দীপিকা ধর। জানা গিয়েছে, দীপ্সিতার মা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ছাপ্পা আটকাতে গেলে তাঁর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয় ফোন। ভেঙে দেওয়া হয় চশমাও।
আরও পড়ুন: ডিমভরা ইলিশ খাওয়া ভাল? ইলিশের ডিম খেলে শরীরে কী হয় জানুন
শুধু তাই নয়, আরও কয়েকজন সিপিএম কর্মীকেও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। একজনের কান কেটে রক্তও বেরিয়ে গিয়েছে। সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের দাবি, যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা সকলেই বহিরাগত। এবং শাসকদলের দুষ্কৃতী। দীপিকা ধর জানান, ‘সকাল থেকেই টুকটাক ছাপ্পা চলছিল। আমরা বসেছিলাম। পরে শুনি দুর্গাপুরে ব্যাপকহারে ছাপ্পা ভোট চলছে। আমি আর আমার নির্বাচনী এজেন্ট হিন্দি স্কুলে যাই। সেখানে যেতেই এক মহিলা আমাদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন। তখন আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অভিযোগ জানাতে যাই। সেই সময় ভিতর থেকে একদল পুরুষ যাঁরা এলাকার বহিরাগত সকলে এসে আমাদের আক্রমণ করল। আমার গালে চড় মেরেছে।’ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।