স্থানীয় ভাষায় ‘মইছাড়া’ বলা হয়ে থাকে। প্রতি বছর এই মইছাড়া প্রতিযোগিতায় স্থানীয় চাষিরা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু চাষিরা নিজস্ব গরু নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থাও থাকে। এদিন এই খেলায় সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তের ১৮০ টি গরু অংশ গ্রহণ করে। সুন্দরবনের চাষিরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন এই গরুদৌড় প্রতিযোগিতা করলে চাষ ভাল হয়। তাই প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে মাঠে জল জমলেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন স্থানীয় চাষিরা।
advertisement
মাত্র ১৫ বছরেই কী ভাবে ফাটল ধরল কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের পিলারে? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন…দোষ কার?
‘জল কত করে? দাও তো!’ চলন্ত ট্রেনে জল কিনলেন কে? পোশাক দেখে চেনা যায়নি, হকার ‘রেট’ বলতেই সর্বনাশ!
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী, ক্যানিং, কুলতলি, জীবনতলা, মগরাহাট, জয়নগর সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন উৎসাহিত হয়ে আসেন। এ বছরও নব্বই জোড়ার গরু এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছে। একদিকে চাষের আশায় অন্যদিকে চাষের আগে নিজেদের গরুগুলি সুস্থ ও তরতাজা আছে কিনা তা দেখে নেওয়ার জন্য এই আয়োজন বলে জানালেন উদ্যোক্তারা।
প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে মাঠে জল জমলেই এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মাঠে হাঁটুখানেক জলের মধ্যে দুই জোড়া গরুকে একসঙ্গে একটি মইয়ের সাথে বেঁধে তাদের ছোটানো হয়। যে জোড়া গরু অন্য জোড়াকে হারিয়ে নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারবে সেই গরু জোড়াকেই বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতায় জয়ীদের জন্য নগদ অর্থ সহ স্টিলের আলমারি, বালতি, কলসি, সুটকেস, ফ্যান সহ বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার থাকে। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকে বিভিন্ন ধরনের সান্ত্বনা পুরস্কার। এই গরু দৌড় দেখার জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
সুমন সাহা