বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অনুষ্ঠানে বলেছেন, 'বোলপুরের কিছু কিছু লোকের পেট ফুলে ফেঁপে উঠেছে। বড় হয়েছে পেট, পয়সা রোজগারের জন্য।' করোনার সময় বীরভূমের বিভিন্ন গ্রামে সাহায্যের জন্য গিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দাবি, সেই সময় গিয়ে তাঁরা দেখেছিলেন কোনও সাহায্য পান না তাঁরা। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই এভাবে নাম না করে কটাক্ষ করেন উপাচার্য। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নিশানায় নাম না করলেও রয়েছেন গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলই।
advertisement
আরও পড়ুন: বোলপুর ব্যাঙ্কে লুকিয়ে অনুব্রতর আসল রহস্য? গোড়ায় ঘা সিবিআই-এর!
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে ফের বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর রাজনৈতিক বক্তব্য পেশকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর আগেও তিনি নাম না করে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বিঁধেছিলেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকেও বিঁধে ছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেছিলেন, 'অতিরিক্ত খেলে বদহজম হয়। তারই প্রতিফলন এখন দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।'
আরও পড়ুন: 'কান্না' কাজে এল না, ২০০ কোটি টাকার জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ
এর আগে ডা. সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি তৈরি হয়েছিল। সেই মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তা নিয়েও বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নাম না করে অনুব্রতকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'উনি কখনও বিশ্বভারতীর ভাল চান না। অপমান করেই আনন্দ পান।' এবার ফের তাঁর নিশানায় অনুব্রত মণ্ডল। একাধিকবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। উপাচার্যকে 'পাগল' বলেও মন্তব্য করেছিলেন অনুব্রত। এবার অনুব্রতর নাম না করে কটাক্ষ করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
ইন্দ্রজিৎ রুজ