অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন সহ পুরসভার দাবি, একাধিকবার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং খাটাল মালিকদের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। পুলিশ ও পুরসভা ফের পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের ৪৩ টি ওয়ার্ডে প্রায় এক হাজার বেআইনি খাটাল রয়েছে সরকারি জমি জবরদখল করে। অধিকাংশ খাটাল ব্যবসায়ী ভিন রাজ্য থেকে এসে সরকারি জমি দখল করে জমিয়ে ব্যবসা বেঁধেছে। খাটাল মালিকরা বিভিন্ন এলাকায় দুধ থেকে কাঁচা মাখন পৃথক করার মেশিন বসিয়ে নিয়েছেন।
advertisement
ওই মাখন নামি-দামি দুগ্ধজাত খাদ্য উৎপাদনকারী সংস্থায় বিক্রি করছেন। ফলে দুর্গাপুরে খাটাল ব্যবসায়ীরা ফুলেফেঁপে উঠলেও পথ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যু সহ চিকিৎসার খরচের মাশুল গুনতে হিমশিম খাচ্ছে জনসাধারণ। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ও শহরের প্রধান রাস্তা গুলিতে গবাদিপশুর অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে ২০১৬ সালে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। খাটাল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে।রাস্তায় গবাদিপশু চলাচল করলে বাজেয়াপ্ত করা হবে।
গবাদিপশুর মালিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটলে মালিকদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কয়েক বছর পুলিশ প্রশাসন জোরদার অভিযান চালায়। খাটালগুলিতে গিয়ে সচেতন করে। রাস্তা থেকে গবাদি পশু বাজেয়াপ্তও করা হয়। কিন্তু খাটাল মালিকরা সচেতন না হওয়ায় ঝাঁ চকচকে আধুনিক শহর খাটালের আকার নিয়েছে। বাড়ছে দুর্ঘটনা।
Deepika Sarkar