পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে চিরঞ্জিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
ওই তরুণীর অভিযোগ ছিল, দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল চিরঞ্জিতের৷ ওই নির্দল কাউন্সিলরের কথাতেই তিনি বাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন তিনি৷ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চিরঞ্জিৎ বিশ্বাস তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ তরুণীর৷ যদিও গত বেশ কিছুদিন ধরেই চিরঞ্জিৎ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না বলে অভিযোগ ওই তরুণীর৷ ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ওই নির্দল কাউন্সিলর তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ৷
advertisement
ধৃত চিরঞ্জিৎ বিশ্বাসের অবশ্য রবিবার দাবি করেন, ওই তরুণী মিথ্যে অভিযোগ করছেন৷ তাঁর সঙ্গে ওই তরুণীর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেন ওই নির্দল কাউন্সিলর৷ তরুণীর সঙ্গে তাঁর ছবিকেও অস্বীকার করেন ওই কাউন্সিলর৷ এ দিনও তাঁর দাবি, রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে৷ গতকালের ঘটনার পর থানায় এসে দেখা করে যাওয়ার পরেও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে৷ এই ঘটনার জন্য বিজেপি-র জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের দিকেই আঙুল তোলেন ওই কাউন্সিলর৷
যদিও নির্দল কাউন্সিলরের এই বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে৷ বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের অভিযোগ, নির্দল কাউন্সিলর হলেও বনগাঁর তৃণমূল জেলা সভাপতি সুসম্পর্কের কারণেই চিরঞ্জিৎ বিশ্বাসকে এতদিন পুলিশ গ্রেফতার করেনি৷ যদিও চিরঞ্জিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের৷