বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিকেল কলেজে ইতিমধ্যেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলজি বিভাগ থেকে নিয়ে আসা রিয়েল টাইম আর টি পিসিআর মেশিন বসানো হয়েছে। ওই মেশিনের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু করার জন্য আইসিএমআর এর অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। সেই অনুমোদন এখনও আসেনি। তাই স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন মেনে সিবি ন্যাট যন্ত্রের সাহায্যে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স টিউবারকুলোসিস বা চূড়ান্ত পর্যায়ের যক্ষ্মার পরীক্ষার জন্য এই সিবি ন্যাট যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। তবে করোনার নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই যন্ত্র বিশেষ কার্যকরী। করোনা নিশ্চিত করতে নমুনায় নিউক্লিয়ক্যাপসিড ও এনভেলাপ এই দুটি জিনের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে হয়। এই যন্ত্রের সাহায্যে এই দুটি জিন সনাক্ত করা যাচ্ছে।
advertisement
এছাড়াও জেলায় করোনার পরীক্ষা বাড়াতে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। বিভিন্ন ব্লক থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে থাকা পুরুষ-মহিলাদের চিহ্নিত করে তাদের ক্যামরি করোনা হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও যারা প্রচন্ড বেশি পরিমাণে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় ভুগছেন তাদের চিহ্নিত করে পরীক্ষার জন্য কোভিড হাসপাতালে পাঠাতে বলা হয়েছে । জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচশো জনের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরা এখন এই সংখ্যাটা আরও অনেকটাই বাড়াতে চাইছি। তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা বা অতিরিক্ত শ্বাস কষ্ট থাকা ব্যক্তিদেরও করোনা হাসপাতালে পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে বাইরের রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদেরও পরীক্ষার আওতায় আনা হবে।