এভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে। ২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে এই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে ধীরে বাড়ছিল। মে মাসে দৈনিক সংক্রমণ নশোয় পৌঁছে যায়। এবার সেই রেকর্ড ভাঙতে চলেছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা। তাঁদের অনুমান, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক সংক্রমণ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়াবহ! একলাফে ৯১ হাজার ছুঁই ছুঁই দৈনিক সংক্রমণ! করোনা-কম্পে কাঁপছে গোটা দেশ...
ডিসেম্বরের শেষেও জেলায় দৈনিক সংক্রমণ ছিল হাতে গোনা। প্রতিদিন ১২-১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন। পয়লা জানুয়ারি ৪৮ জন আক্রান্ত হন। সেই সংখ্যাটা এখন ২২১- এ পৌঁছে যাওয়া উদ্বিগ্ন জেলার বাসিন্দারা। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার আক্রান্ত ২২১ জনের মধ্যে শুধুমাত্র বর্ধমান পৌরসভা ও বর্ধমানের দুটি ব্লক মিলিয়ে ১১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই জেলায় এ দিন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৬৯৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪০ হাজার ৬৯৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২২১ জনের মধ্যে বাইরের জেলা থেকে এসে সংক্রমিত হয়েছেন ২২ জন। দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ২২১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কেন কলকাতায় 'রেকর্ড' সংক্রমণ, মুখ খুললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
গ্রামীন এলাকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ভাতার ও বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকে। এই দুই ব্লকে কুড়িজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গলসি এক নম্বর আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন। রায়না এক নম্বর ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন। বর্ধমান দু'নম্বর ব্লক, কালনা এক নম্বর ব্লক ও কালনা ২ নম্বর ব্লকে চারজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লক, আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লক, জামালপুর, কাটোয়া দু'নম্বর ব্লক, মেমারি দু'নম্বর ব্লক, খণ্ডঘোষ ও কেতুগ্রাম এক নম্বর ব্লকে দুজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গলসি দু'নম্বর ব্লক, কাটোয়া ১ নম্বর ব্লক, মন্তেশ্বর, পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকে একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।