নদিয়ার শান্তিপুরের বহু পুরনো এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মরমী মরণোত্তর কর্নিয়া সংগ্রহের কাজ করে চলেছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে এই কর্নিয়াগুলি সংগ্রহ তারা বেশিরভাগ সময়ই স্বাভাবিক মৃত্যু অর্থাৎ বেশিরভাগই বার্ধক্য জনিত মৃত্যুর পরে তারা সংগ্রহ করতে পেরেছেন। কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রেও কর্নিয়া প্রদান করা যেতে পারে বেশ কিছু শর্ত মেনে। সে ক্ষেত্রে পুলিশ যদি সক্রিয়ভাবে সহায়তা করে তাহলে সেই কাজ আরও সহজ হয়ে দাঁড়ায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বিঘা প্রতি ১০০ টাকা…! তাতেই কামাল গ্রামবাসীদের, পুরোটা দেখলে আপনিও স্যালুট জানাবেন
যদিও এর আগে মরমীর পক্ষ থেকে শক্তিনগর হাসপাতাল এবং রানাঘাট হাসপাতাল থেকে দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর সেই দেহ থেকে কর্নিয়া সংগ্রহ করা হয়েছিল তবে তা স্থানীয় স্তরে পুলিশ আধিকারিকদের মহানুভতায়। সাধারণত অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে বেশ কিছু শর্ত মেনে আইনতভাবে কর্নিয়া সংগ্রহ করা হয় কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে এর কোনও আইন পাশ করা হয়নি। সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য দফতরে একাধিক লিখিতভাবে ডেপুটেশন জানান হয়েছে এটিকে একটি আইনের পরিণত করার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় পরিবারের সম্মতি থাকলেও ময়নাতদন্তে পাঠান মৃতদেহ থেকে কর্নিয়া সংগ্রহ করা সম্ভব হত না ওই কেসের আইও কিংবা পুলিশ আধিকারিকদের সঠিক নিয়ম না জানার কারণে, অন্যদিকে হয়ে আসার জন্য কর্নিয়া সংগ্রহের সময়সীমা ৮ -১০ ঘন্টা পার হয়ে যায়। তখন আর নেওয়ার উপযোগী থাকে না। অথচ তদন্তের বিষয় যদি চোখ না হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কিংবা থানা থেকেই সংগৃহীত হতে পারে। আর সেই কারণেই এই সমস্যা সমাধানের আলোচনা।
সাধারণত মৃত্যুর পরে পুলিশের সম্মতি নিয়ে এই কর্নিয়া সংগ্রহ করা হতে পারে। এমনকি দেহ যদি মর্গে ঠান্ডা করে রাখা যায় তবে সেই কর্নিয়া সচরাচর নষ্ট হয় না। এই সমস্ত একাধিক কারণ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে কীভাবে সেই ব্যবস্থা পুলিশের সহযোগিতায় করা যেতে পারে তারই কর্মসূচির আয়োজন করা হল ধানতলা থানায় এই দিন। উপস্থিত ছিলেন ধানতলা থানার ওসি থেকে শুরু করে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তারা।
Mainak Debnath