স্থানীয় বাসিন্দা গীতা গোস্বামী বলেন, ছাতা মাথায় দিয়ে রান্না করতে হয়। খুবই অসুবিধা হয়, বাচ্চাদেরও ভীষণ কষ্ট হয়। প্রশাসনের অনেকেই এসেছিলেন কিন্তু এখনও কিছুই হয়নি। শুধু রান্নার সময়ই নয়, বাচ্চাদের বসিয়ে পড়ানোও একপ্রকার অসম্ভব হয়ে ওঠে। মাথার উপর থেকে নিরন্তর ফোঁটা-ফোঁটা জল পড়তে থাকে, মেঝেতে জল জমে পিচ্ছিল হয়ে যায়। শিক্ষিকা ও সহায়িকা কোনওরকমে শিশুদের নিয়ে দিন কাটান, কিন্তু এর ফলে শিক্ষা ও পুষ্টি- দুই পরিষেবাই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফাঁকা বাড়িতে দেদার লুঠ, দুঃসাহসিক কায়দায় দেগঙ্গায় চুরি! চাঞ্চল্য এলাকায়
এখানেই সমস্যার শেষ নয়। এলাকাবাসীর কথায়, এই ঘরে প্রায়ই সাপ ঢুকে পড়ে। শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়, অভিভাবকরাও সন্তানদের পাঠাতে ভয় পান। অনেক সময় সাপ ঘরে ঢুকতে ও বেরোতে দেখা যায়। ভাঙাচোরা টিনের দেওয়াল ও ছাদের ফাঁক দিয়ে দিনের আলো ঢোকে, আবার রাত হলে অন্ধকার ও ভয়ানক পরিবেশ তৈরি হয়। মনাই নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বিডিও অফিসেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছিল কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। এখানে সাপের উপদ্রব রয়েছে, যে কোনও সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। এটাকে ঠিকঠাক করে দিলে অনেক ভাল হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, একাধিকবার তাঁরা বিষয়টি পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। বছরভর সমস্যার মধ্যেই চলে কাজ, তবে বর্ষার সময় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। তখন শুধু খাবারই নয়, শিশুদের পড়াশোনাও কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এই কেন্দ্রের শিশুদের ভবিষ্যৎ আজ প্রশ্নের মুখে। পুষ্টি, শিক্ষা ও নিরাপত্তা- তিন দিক থেকেই তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এলাকার মানুষের একটাই দাবি, অবিলম্বে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংস্কার করা হোক।