সূত্রের খবর, ২০২৩ সালে বাগুইআটির দেশবন্ধু নগরে “ইলেক্ট্রিনো ইভিটেক প্রাইভেট লিমিটেড” নামে একটি স্কুটির অফিস খোলা হয়। পরবর্তীতে ওই কোম্পানির আরও দুটি শাখা খোলা হয় বাঁকুড়া শহরে এবং রাঁচিতে।
advertisement
অভিযোগ এই কোম্পানিটি সাধারণ মানুষকে বলত, যদি তারা প্রতি স্কুটি ৮৫ হাজার টাকায় কিনে ওই কোম্পানির কাছে আবার ভাড়ায় দেয়, তাহলে কোম্পানি প্রতি মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে ভাড়া দেবে।
এরপর ২০২৩ সাল থেকে প্রচুর মানুষ স্কুটি কিনে ওই কোম্পানির কাছেই ভাড়ায় দিতে শুরু করে। গত বছরের শেষ দিকে এবং চলতি বছরের শুরুতে কোম্পানি থেকে বিভিন্ন লোভনীয় অফার দেওয়া হয়। ফলে সাধারণ মানুষ এবং আগের গ্রাহকেরাও আরও বেশি করে স্কুটি কিনে ভাড়ায় দিতে থাকে।
এইভাবে কোম্পানি বাজার থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা তোলে। কিন্তু চলতি বছরের ৭ মে তারিখের পর থেকে কোম্পানির মূল মালিকরা পালিয়ে যায়। তদন্ত চলাকালীন জানা যায়, তাদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর—সবই ভুয়ো (ফেক) ছিল।
২৫ জুন তারিখে বিহারের সীতামারি জেলা থেকে একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার নাম শশাঙ্ক দত্ত ওরফে স্বরূপ দত্ত। এরপর গতরাত্রে, অর্থাৎ ৬ জুলাই রাতে বিহারের পাটনা থেকে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়, যার নাম কুনাল কুমার ওরফে কুমার কুন্দন ওরফে সুধীর কুমার। এই মামলায় আরও যারা জড়িত, তাদের গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।