আরও পড়ুন: দিনের চোর-পুলিশ দৌড় শেষে রাত কাটে রবীন্দ্র-নজরুল আশ্রয়ে! এমনও পুলিশ হয়
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় সর্বত্রই মাছের চাষ হয়। তবে নন্দীগ্রাম ব্লকে নানান ধরনের মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুরে কাঁকড়া চাষ কর্মসংস্থানের নতুন দিশা দেখিয়েছে বর্তমান প্রজন্ম ও বাড়ির বধূদের। নন্দীগ্রামের এক বিপুল অংশের মানুষ বাড়িতে এবং নদীতে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সেই কাজে পেশাদারিত্ব বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে মাছ-কাঁকড়া-চিংড়ি চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে কর্মসন্ধানী যুবক-যুবতীদের।
advertisement
হুগলি, হলদী নদীতে নৌকো নিয়ে ইলিশ মাছ ধরার কৌশলে কিংবা ভেনামি চিংড়ি চার্জ কিভাবে করলে আয় বাড়বে সেই সবকিছু নিয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ব্লক মৎস্য বিভাগ। আর এই বিষয়গুলি হাতে-কলমে জানতে নন্দীগ্রামে শিক্ষামূলক ভ্রমনে আসছে প্রাণীবিদ্যা ও পরিবেশবিদ্যায় পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের দল। শুধু প্রথাগত শিক্ষা বা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যেই সীমিত না থেকে পড়়ুয়াদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মাছ ধরা ও মাছ চাষ দুই কাজেরই সব খুঁটিনাটি শেখানো হয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
নৌকোয় মৎস্য আহরণের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে পড়ুয়াদের ভালোভাবে অবগত করা হয়। কলেজ পড়ুয়াদের লুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণের বিষয়গুলি বেশি ভাল করে শেখানো হচ্ছে। সম্প্রতি মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর মহাবিদ্যালয়, মেদিনীপুর সিটি কলেজের পড়ুয়াদের নন্দীগ্রামের মৎস্যক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কলেজের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা সহ ছাত্রছাত্রীদের দলকে মাছ চাষ ও মাছ আহরণের বিভিন্ন বিষয় ঘুরিয়ে দেখিয়ে বোঝান নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু। সুমনবাবু বলেন, মৎস্য কেন্দ্রিক অন্যান্য অনেক বিষয় সম্পর্কে পড়ুয়াদের প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয় এই শিক্ষামূলক ভ্রমণে। জৈব মাছ চাষের পদ্ধতি, মাটির উর্বরতা, রাসায়নিক সারের ব্যবহার-সহ আরও বিভিন্ন দেশীয় মাছের চাষ সম্পর্কে পড়ুয়াদের অবগত করা হয়। বর্তমান প্রজন্মকে কর্মসংস্থানের দিশা দেখাতেই এই উদ্যোগ বলে তিনি জানান। এই সুযোগ পেয়ে খুশি পড়ুয়ারাও।
সৈকত শী





