বারাসত, জিয়াউল আলম: সোমবার সকালে বারাসাতের কাছে বামনগাছি এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় একটি ম্যাটারর সাথে ধাক্কা লাগে স্থানীয় বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ নামে বছর বত্রিশের এক যুবকের। এরপরই তড়িঘড়ি এলাকার লোকজন ও বাড়ির লোকজনেরা বারাসাত মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসে ওই প্রীতম ঘোষকে। সেখানে নিয়ে গেলে বারাসাত মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: লোকাল এবং এক্সপ্রেস মিলিয়ে রাজ্যের ৪০টি ট্রেন বাতিল! যাত্রীদের প্রবল ভোগান্তির আশঙ্কা
অভিযোগ আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যখন বাড়ির লোককে ডেকে ময়নাতদন্তের পরে দেহটি দেওয়া হয়। বাড়ির লোকের অভিযোগ দেহ থেকে তার একটি চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বাড়ির লোকজনের। এমতাবস্থায় ঠাকুরনগর থেকে গাড়ি করে এদিন যশোর রোড ধরে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সীমতা অবস্থায় এদিন যখন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেটের সামনে বিক্ষোভ চলছিল, তাঁর কনভয় সেখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ডেটিং অ্যাপে যুবকের সঙ্গে পরিচয় যুগলের, অনেকে মিলে পার্টির প্ল্যান! কসবায় কেন খু*ন যুবক?
২০ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় দাঁড়িয়ে শুনলে বিচারের দাবি তোলেন তারা। ঘটনার জেরে গাড়ির মধ্যে বসেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের লোকজন চোখ তুলে নেওয়া নিয়ে তদন্তের দাবি তোলেন। এমতাবস্থায় দীর্ঘক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের কথোপকথন চলে। দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পরে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে এবং পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে বারাসাত কাজীপাড়া এক নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকার এই বাসিন্দা ছিলেন পিতম ঘোষ। গত ১৫ দিন আগে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন স্ত্রী কেয়া দাস। সামান্য রোজগারে সংসার চলত এই পরিবারটির। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে বাড়ির লোকজনেরা। পরিবারের দাবি চাকরি চান না তারা দেহ থেকে যে চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে তাতে যারা দোষী তাদের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তোলেন। পরিবারের দাবি, যখন দেহটি আনা হয়েছিল তখন দেহটিতে দুটি চোখই ছিল কিন্তু আজ যখন ময়নাতদন্তের পরে দেহটি তাদেরকে হস্তান্তর করা হয় কী করে একটি চোখ উধাও হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পরে দেহটিকে আবারও পরিবারের থেকে নিয়ে বারাসাত মর্গে রাখা হয়েছে।
