পিয়ারত শেখ শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজ করতে পারেন না। সংসার চলে রসুলা বিবির কষ্টার্জিত উপার্জনে। কখনও বিড়ি বেঁধে, কখনও অন্যের বাড়িতে কাজ করে। বিদ্যুৎবিহীন, পানীয় জলের অভাবগ্রস্ত আইসিডিএস সেন্টারেই কষ্টে দিনযাপন করছিলেন তাঁরা। গ্রামবাসীরাও বারবার দাবি তুলেছিলেন এই পরিবার যেন একটি বাড়ি পায়।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে Local 18 বাংলায় এই অসহায় দম্পতির করুণ কাহিনি প্রকাশিত হয়। সেই খবর নজরে আসে প্রশাসনেরও। মঙ্গলবার, বর্ধমান সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে পিয়ারত শেখকে বাড়ি তৈরির জন্য চেক তুলে দেন। এদিন বর্ধমানের সভা থেকে জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে পিয়ারত শেখকে বাড়ি তৈরির সুবিধা প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পাকা বাড়ি তৈরির চেক পেয়ে খুশিতে চোখে জল পিয়ারত শেখের৷ তিনি বলেন,”দিদিকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এতদিন পর আমার সমস্যার সমাধান হল। আমি খুব খুশি হয়েছি।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: বিশ্বের সবথেকে ভারি ফুলের নাম কি? ওজন জানলে আপনি চমকে যাবেন
বিল্বগ্রাম অঞ্চলের প্রধান কিশোর রায়চৌধুরী বলেন,”পিয়ারত শেখকে বর্ধমানে দিদি বাড়ি তৈরির চেক প্রদান করেন৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী গরীবের কথা যে ভাবেন তা প্রমানিত৷” একই কথা বলেন আউশগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন,”আউশগ্রামে পিয়ারতের সঙ্গে আরেকজনকেও বাড়ি তৈরির চেক প্রদান করা হয়৷ চার বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে নতুন আশা জাগল পিয়ারত শেখ ও রসুলা বিবির জীবনে। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে খুশির স্রোত বইছে গোটা গ্রামে।