খরিফ চাষের ভরা মরশুমেই প্রধানমন্ত্রীর নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত। নোটবন্দির পর প্রায় ছ’মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু, কৃষিতে তার ধাক্কা এড়ানো গেছে কি? প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এখনও কৃষিঋণ মকুব করল না কেন্দ্র ৷ আমরা জেলার কৃষি খাজনা মকুব করে দিলাম ৷ এর জন্য ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে ৷’
advertisement
সোমবার খড়গপুরের জনসভায় রাজ্যের কৃষকদের দুশো কোটি টাকা কৃষি খাজনা মকুবের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে কৃষিঋণ মকুবের দাবিও তোলেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের আগে কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। ভোটে ব্যাপক সাফল্যের পর সেই প্রতিশ্রুতি মতো কাজই এখন আদিত্যনাথের লক্ষ্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবি তুলেছে আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য মহারাষ্ট্রও। নাম না করেই এ নিয়ে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
ধূলাগড়-সহ একাধিক জায়গায় অশান্তি নিয়ে বিজেপিকেই বেঁধেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে গেরুয়াশিবিরের প্রস্তুতি নিয়েও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। বলেন, ‘আমরা পেঁয়াজ চাষ অনেক বাড়িয়েছি ৷ এখন আর নাসিক থেকে আনতে হয় না ৷ ইলিশ মাছ উত্পাদনের হাব তৈরি করব ৷ বাংলাদেশ থেকে আর মাছ আনতে হবে না ৷ বাংলা স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে ৷ সব এই সরকার করছে ৷ যা সিপিএম করেনি, কংগ্রেস করেনি ৷ বিজেপি তো দাঙ্গা লাগানো ছাড়া কিছু করে না ৷ ‘আমি সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করি ৷ হিন্দু-মুসলিম-ক্রিশ্চান সব ধর্মের অনুষ্ঠান ৷ সব ধর্মের অনুষ্ঠান সমানভাবে পালন হবে ৷ দাঙ্গাবাজদের কাছে হিন্দু ধর্মের ব্যাখ্যা শুনব না ৷ বাংলা দাঙ্গার নয়, ভালবাসার জায়গা ৷ আমি কখনও ঘর জ্বালাতে দিইনি, দেবও না ৷
সোমবার, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক আক্রমণের ঝাঁঝ যেমন বাড়িয়েছেন। তেমনই চাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর।