পেশাগতভাবে তিনি একজন কাপড় ব্যবসায়ী। ছোট থেকেই তার শখ ছিল একজন ভাস্কর্য শিল্পী হিসেবে নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটান। তবে পরিস্থিতি তাকে সঙ্গ দেয়নি। কালের নিয়মে সংসার চালাতে তাকে কাপড়ের দোকান দিতে হয়েছে। তবে দোকানে খদ্দের না থাকলে যা করেন এই কাপড় ব্যবসায়ী জানলে অবাক হবেন। দোকানে কাজের অবসরে তিনি তৈরি করেন একাধিক যুদ্ধবিমান। যা দেখতে ছোট হলেও হুবহু একই রকম। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড ঠাকুরবাড়ি বাজার এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মণ বিশুই। একসময় কাঠের কাজ করতেন লক্ষ্মণ বাবু। তবে বর্তমানে তিনি একটি কাপড় দোকান চালান। তবে নিজেদের দোকান সামলে অবসর সময়ে তিনি কাঠ দিয়ে বানিয়ে ফেলেন যুদ্ধবিমান।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্যাক টু ব্যাক নিম্নচাপ…! হু হু করে বাড়ছে জল, বানভাসি ঘাটাল কাঁদাচ্ছে বাসিন্দাদের, রইল ভিডিও
কখনও বাড়িতে, আবার কখনও তার দোকানেই চলে তার এই সখের কাজ। কাঠকে বিভিন্ন রূপে এনে, কখনও যুদ্ধবিমান, কখনও আবার কামান বানিয়ে তাক লাগিয়েছেন তিনি। দোকানে বসেই কাঠ দিয়ে একের পর এক বানিয়ে চলেছেন যুদ্ধবিমান, বায়ুসেনা হেলিকপ্টার, বোফর্স কামান সহ নানা জিনিস। এছাড়া রয়েছে চন্দ্রযান তিন এর রেপ্লিকা। বাড়িতে রয়েছে ঢেঁকি, নৌকোর ছোট্ট রূপ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নিজের কাপড়ের দোকানের সামনে সাজিয়ে রাখেন তার হাতে বানান এই সকল জিনিসগুলো। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কচিকাঁচারা কিংবা বিভিন্ন মানুষজন চাক্ষুস করেন লক্ষ্মণ বাবুর হাতের তৈরি এই যুদ্ধবিমান। হাত দিয়ে পরখ করে দেখে শিল্পীর কাজকে। এলাকার মানুষ লক্ষ্মণ বাবুর এই কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনেকের কাছেই লক্ষ্মণ বাবুর এই দোকানটা যুদ্ধ বিমানের দোকান নামে বেশ পরিচিত। সুদক্ষ এই কারিগরী ভাবনা এবং উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাড়া-প্রতিবেশিরা।
রঞ্জন চন্দ





