আরও পড়ুন: পুজোর আগে মন্দিরবাজারের মহেশপুরে সকলের মুখে হাসি ফোটায় শোলার ফুল
গনেশ চন্দ্র কর্মকার তাঁত কাপড় নামক এই হাট মূলত তাঁতিদের এলাকা। সপ্তাহে চারদিন খোলা থাকে এই হাট। বৃহস্পতিবার এবং রবিবার সকালে , শুক্রবার এবং সোমবার সারাদিন। সমুদ্রগড়, ধাত্রীগ্রাম, পূর্বস্থলী, শ্রীরামপুর, কালনা এই সকল এলাকায় বসবাস করেন তাঁতিরা। পূর্ব বর্ধমানের এই সকল এলাকায় প্রায় কিছু না হলেও হাজার হাজার তাঁতি বসবাস করেন। তাদের উৎপাদিত কাপড় এই হাটে আসে। সেইসব কাপড় অন্যান্য জায়গার থেকে এখানে অনেক কম দামে পাওয়া যায়।
advertisement
কারণ এখানে উৎপাদন এলাকা রয়েছে, তাই সরাসরি উৎপাদন হয়ে হাটে চলে আসে । ভিন রাজ্যের পাইকাররাও এখানে এসে কাপড় কিনে নিয়ে যান। পুজোর আগে আধুনিক নকশার শাড়িও প্রস্তুত করেছে তাঁতিরা। এবছর সবথেকে বেশি চাহিদা রয়েছে কম দামের জামদানি শাড়ির। এই জামদানি শাড়ির চাহিদা কমে গিয়েছিল একসময়। কিন্তু আবার নতুন করে চাহিদা বাড়ছে এই জামদানি শাড়ির। এই প্রসঙ্গে হাটের মালিক সুবীর কর্মকার জানান , ভিন রাজ্য থেকেও পাইকাররা আসছে। রবিবার আরও ভিড় বাড়তে পারে। বিক্রি ভালই হচ্ছে। কম দামের জামদানি বেশি বিক্রি হচ্ছে। জামদানির ভাল চাহিদা রয়েছে।
মালদা, শিলিগুড়ি, হুগলি, নামখানা থেকেও পাইকাররা পূর্ব বর্ধমানের এই হাটে কাপড় কিনতে আসে। পুজোর আগে প্রত্যেকবছর যেন জমজমাট হয়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমানের এই হাট। সেরকমই এবছরও এই হাটে জোরকদমে চলছে বিক্রিবাটা। পুজো যেরকম এগিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে এই হাটে। আগামী দিনে আরও ভালো বেচাকেনা হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী