সরকার পোষিত স্কুলগুলির মধ্যে বহু স্কুলেই পড়ুয়া হ্রাস পাওয়ায় ঘটনা। অধিকাংশ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলি শিক্ষক ও পড়ুয়া অপ্রতুল হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে বা অচিরেই বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। শিশু শিক্ষা কর্মসূচীর অধীনে, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র (SSK), যেটি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলি SSK স্কুল শিক্ষা বিভাগ দ্বারা অনুমোদিত। পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের অধীনে। তেমনি একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র দক্ষিণ চংঘুরালি বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। যেটি বর্তমানে বন্ধ ও পরিত্যক্ত। স্কুল বন্ধ হলেও স্কুল দ্বিতল ভবনটি অক্ষত রয়েছে। সেটিতে বর্তমানে মদ, গাঁজার আসর চলে বলেই গ্রামের মানুষের অভিযোগ। দিনরাত আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে স্কুল বাড়িটি। রাত নামলেই চলে বিভিন্ন অসামাজিক কাজ। এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্র চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মদ গাঁজা আসরের নানা নমুনা পড়ে রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা থাকলেও হাতে নেই সময়! পূরণ হচ্ছে না শখের বাগানের স্বপ্ন? এবার হবে সব মুশকিল আসান
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সুবোধ মান্না শ্যামল মান্না সহ গ্রামবাসীরা জানান, গ্রামের শিশুদের শিক্ষা প্রদানের গুরুত্ব দিয়ে এই শিশুর শিক্ষা কেন্দ্র চালু হয়। শুরুতে গুটি কয়েক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময় ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ধীরে ধীরে শিশু শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই স্কুল। স্থানীয় মানুষের দাবি এখানে বন্ধ হোক অপরাধমূলক কার্যকলাপ। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পরিতক্ত ভবনটি জনসেবায় কাজে লাগান হোক।
এ প্রসঙ্গে জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রঞ্জন কুন্ডু জানান, শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক শিক্ষিকারা অবসর গ্রহণের পর স্কুলটি বন্ধ হয়। পার্শ্ববর্তী শিক্ষা কেন্দ্র থাকায় স্থানীয় শিশুরা অন্যত্র শিক্ষা গ্রহণ করছে। তবে শিক্ষা কেন্দ্রের ভবনটি কাজে লাগানো হবে অঙ্গওয়াড়ি শিক্ষাদানে। স্থানীয় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নির্দিষ্ট ভবন নেই। ফলে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।।
রাকেশ মাইতি





