দীপান্বিতা অমাবস্যা বা কালীপুজোয় প্রদীপ জ্বালানোর প্রচলন আজকের না, বহু প্রাচীন। যুগের পর যুগ চলে আসছে দীপান্বিতা অমাবস্যায় প্রদীপ জ্বালানো। কিন্তু ধীরে ধীরে দীপান্বিতা অমাবস্যা বা কালীপুজোয় প্রদীপ জ্বালানোর চল বদলে যায় রংবেরঙের নানান ইলেকট্রিক লাইটে। ঘরে ঘরে বাহারি লাইটের শোভায় প্রদীপের আলো ছিল ক্রমশ মুহ্যমান! একটা সময় দীপাবলীতে শহরের পাশাপাশি বাংলার ঘরে ঘরে বাহারি আলোর দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছিল প্রদীপের শিখা। কিন্তু আবারও ধীরে ধীরে প্রদীপের শিখা প্রাণ ফিরে পাচ্ছে দীপাবলি উৎসবে। ফলে কুমোর পাড়ায় ব্যস্ততা মাটির প্রদীপ তৈরিতে।
advertisement
আরও পড়ুন : এবার পুজো মণ্ডপেও নিজের খেলা দেখাবে ‘এআই’! বলিউডের শিল্পী গড়ে তুলছেন প্যান্ডেল! না দেখলে বড় মিস
প্রদীপ মাঙ্গলিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। পুজো পার্বণ বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাই প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। একটা সময় দীপান্বিতা অমাবস্যা বা কালীপুজোয় আলো বলতে প্রদীপের আলোকেই বোঝাত। কিন্তু মাঝে রঙবেরঙের আলোর রোশনাইয়ে কিছুটা হলেও ফিকে পড়েছিল প্রদীপের আলো। কিন্তু আবারো প্রদীপের আলোর দিকে ঝুঁকছে মানুষ। ফলে দীপাবলিতে মাটির প্রদীপের চাহিদা বাড়ছে। এ বিষয়ে অদ্বৈত পাল নামে এক কুম্ভকার জানান, ‘আগের তুলনায় কালীপুজোর সময় মাটির প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে। রংবেরঙের আলো যতই থাকুক, মাটির প্রদীপের বিকল্প কিছু হয় না। তাই মানুষ কালীপুজোর দিন মাটির প্রদীপেই আস্থা রাখছে।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নন্দকুমার ব্লকের দক্ষিণ ধলহরা, বেতকল্লা রাউতৌড়ি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে, কুমোর পাড়ার এই মুহূর্তে প্রদীপ তৈরির ব্যস্ততা। কারণ বিগত তিন চার বছর মাটির প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে কালীপুজোর সময়। সামনে কালীপুজো উপলক্ষে কুমোর পাড়ার ঘরে ঘরে মাটির প্রদীপ তৈরি করতে ব্যস্ত কুম্ভকারেরা। এই এলাকার কুম্ভকারেরা মাটির প্রদীপ তৈরি করে পাইকারি বাজারে বিক্রি করেন। প্রতিবছর দুর্গাপুজোর পর থেকেই মাটির প্রদীপ তৈরির অর্ডার আসে দীপাবলি উপলক্ষে। বিগত বছরগুলিতে উত্তরোত্তর বাড়ছে প্রদীপের অর্ডার। কেউ কেউ আবার অর্ডার অনুযায়ী প্রদীপ তৈরি করে দিতে পারছেন না সময়ের অভাবে।