#বর্ধমান: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতে নানান সামাজিক কাজে এগিয়ে গিয়ে হিরোর মর্যাদা পাচ্ছে এ রাজ্যের পুলিশ। ঠিক তখন কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিয়ে সততার নজির গড়লেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। পুলিশের সম্মানের মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করলেন তাঁরা। কোথায় ঘটলো এমন ঘটনা!
পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বাজারে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখায় মাসের প্রথম দিন থেকেই ভিড় করছেন পেনশন গ্রাহকরা। সোমবার সেই ব্যাঙ্কে পেনশনের টাকা তুলতে গিয়েছিলেন শশধর সামন্ত। পঁয়ষট্টি বছর বয়সী শশধরবাবু অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মী। তাঁর বাড়ি ভাতারের বলগোনা গ্রামে। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে তিনি তা ব্যাগে ভরেন। ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি খেয়াল করেন, তাঁর সঙ্গের টাকার ব্যাগটি নেই। চিন্তায় পড়ে যান তিনি। ব্যাগে দশ হাজার সাতশো টাকার পাশাপাশি, ব্যাঙ্কের বই ও অন্যান্য সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তিনি আর সেই ব্যাগের হদিশ পাননি। চিন্তিত শশধরবাবু এর পর ভাতার থানায় গিয়ে তাঁর অসহায়তার কথা পুলিশ অফিসারদের জানান।
advertisement
ব্যাংকের সামনে ডিউটি করছিলেন সুদীপ্ত হাজরা ও সেবা ঘরুই নামে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁরা রাস্তায় একটি ব্যাগ ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। ব্যাগ খুলে দেখেন তার মধ্যে টাকা রয়েছে। তাঁরা সেই ব্যাগ নিয়ে ভাতার থানায় গিয়ে ওসি প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানান। ওসি ব্যাগে থাকা পাশ বইয়ে নাম দেখে যোগাযোগ করেন শশধরবাবুর সাথে। এরপর শশধরবাবুর বাড়িতে গিয়ে ব্যাগটি ফেরত দিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন তিনি।
দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারের মানবিক আচরণে খুশি হয়েছেন ভাতার এলাকার মানুষজন। তাঁরা বলছেন, এই করোনার পরিস্থিতিতে পুলিশের কাজ অনেক বেড়ে গিয়েছে। দৈনন্দিন আইন শৃঙ্খলা সামলে এলাকায় দরিদ্রদের রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। আটকে পড়া শ্রমিকদের খাবার ছাড়াও নতুন জামা কাপড় দেওয়া হয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্ত সংকট মেটাতে এই গরমে নিয়মিত রক্ত দিচ্ছে পুলিশ। ঠিক এই সময় পুলিশের সম্মান আরও বাড়ালো এই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার।