টানটান উত্তেজনার মধ্যে হলদিয়া বন্দরের ডক ইন্সটিটিউটের পরিচালন কমিটির নির্বাচন হয়।রাজ্য পুলিশ ও সিআইএসএফের ঘেরাটোপে ভোট দেন বন্দরের স্থায়ী শ্রমিক, কর্মচারী ও আধিকারিকরা। নির্বাচনে একজোট হয়ে লড়ে বাম এবং কংগ্রেস সমর্থিত কর্মী সংগঠন। নির্বাচনে অংশ নেয় তৃণমূলের কর্মী সংগঠ আইএনটিটিইউসি এবং বিজেপি সমর্থিত বিএমএস৷
ফলে লড়াই ছিল ত্রিমুখী৷
আরও পড়ুন: 'মারধর করে জেলে ঢুকিয়ে দাও, কিন্তু প্রশ্ন তোলা আমি বন্ধ করব না,' তোপ রাহুলের
advertisement
মোট ভোটার সংখ্যা ৭৩৭ জন হলেও এদিন ভোট দেন ৬৯৪ জন। এবার মূলত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় তৃণমূল ও বাম-কংগ্রেস জোটের মধ্যে। অন্যদিকে, ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ বা বিএমএস অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালায় বন্দরের নির্বাচনে। বিজেপির কোনও শ্রমিক সংগঠন না থাকায় আরএসএসের এই শ্রমিক সংগঠনই বন্দর সহ শিল্পাঞ্চলে বিজেপির মুখরক্ষার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: রাহুলের পাশে কেন দাঁড়ালেন মমতা? কটাক্ষ করে বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু
তিনটি প্যানেলে মোট প্রার্থী সংখ্যা ছিল ৫৮জন। প্রতিটি প্যানেলে ১৮ জন পরিচালন কমিটির সদস্য ও সহ সভাপতি মিলিয়ে মোট ১৯ জন করে প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া একজন নির্দল প্রার্থী ভোটে একা লড়াই করেছেন।
প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিল সিআইটিইউ সমর্থিত প্রার্থীরা। শেষে বিরোধীদের হারিয়ে ১৯ জন সিআইটিইউ প্রার্থী জয়লাভ করে। চলতি বছরেই হলদিয়া পুরসভা নির্বাচন। হলদিয়া পুরসভার নির্বাচনের আগে এই ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দু' বছর আগে হলদিয়া বন্দরের এই ভোটে জিতে ক্ষমতা দখল করেছিলো তৃণমূল। সেই তৃনমুল এবং বিজেপিকে হারিয়ে বিপুল জয় পেয়েছে সিটু সহ তাদের জোটসঙ্গীরা!
মুর্শিদাবাদে জোট বেঁধে লড়েই তৃণমূলকে হারিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেস এবং বামেরা৷ কয়েকদিন আগে সাগরদিঘির লালবাগের বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটেও জয়ী হয় বাম-কংগ্রেসের অলিখিত জোট৷ এবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল হলদিয়ায়৷ ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, বাম-কংগ্রেসের জোট শাসক দলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে৷