পরিযায়ী পাখিদের টানে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে চুপির চর এলাকা। তবে চোরা শিকারিদের হাত থেকে এই পাখিদের বাঁচাতে সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেন পাখি প্রেমীরা। কোন পাখি এল, কাদের এখনও আসা বাকি, সেইসব খবর হিসাবে রাখেন পাখি প্রেমীরা।
তাঁরাই জানাচ্ছেন, শীত পড়তেই পরিযায়ী পাখিদের আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। এবারও অনেক বেশি পাখি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। চুপি চরে আসা পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে রয়েছে অসপ্রে, রুডি শেলডাক, স্মল প্রাটিনকোল, রিভার ল্যাপ উইং, গ্রে হেরন, পার্পল হেরন, রেড ক্রেস্টেড পোচার্ড, গ্রিন বি ইটারের মতো পাখিগুলি।
advertisement
শীত পড়লেই মধ্য ও উত্তর এশিয়া, ইউরোপ, তিব্বত, সাইবেরিয়া থেকে হাজার হাজার সংখ্যায় পরিযায়ী পাখিরা আসে এই এলাকায়। তেমনই আবার এই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ থেকেও বেশ কয়েক প্রজাতির পাখি চলে আসে এই এলাকায়।
পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর কাষ্ঠশালী গ্রামেই রয়েছে জলাভূমি। পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে গঙ্গা। তা থেকেই এই জলাভূমির উৎপত্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এটি ছাড়ি গঙ্গা নামেও পরিচিত। শীতকালে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি সুদূর সাইবেরিয়া থেকে এখানে আসে।
আরও পড়ুন, গলায় গেঁথে আস্ত ত্রিশূল, এনআরএসে নতুন জীবন পেলেন যুবক! ধৃত এসএফআই নেতা
পাখি দেখার সবথেকে ভাল সময় ভোর ও বিকালে। একটি নৌকা ভাড়া করে বেড়িয়ে পড়লেই সবথেকে সুবিধা। নৌকো ভাড়া ঘণ্টায় ১৫০ টাকা। এক সঙ্গে চার জন ওঠা যায় নৌকাতে। নানা রঙের নানা আকারের পাখি দেখতে দেখতে সময় কেটে যাবে নিমেষে।
আরও পড়ুন, খসে পড়ছে দেহের অংশ! ডোমজুড়ে হনুমানের গায়ে ঢেলে দেওয়া হল অ্যাসিড
ফলে শীতকালে পর্যটকদের কাছে পিকনিক স্পট হয়ে উঠেছে এই এলাকাটি। শেষ কয়েক বছরে আরও আকর্ষণ বেড়েছে চুপির চরে। এ বছর শীত পড়তেই পর্যটক আসতে শুরু করেছেন বর্ধমানের এই এলাকাটিতে।