ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার নতুন কোর কমিটির বৈঠকে৷ সূত্রের খবর, ওই বৈঠক চলাকালীন নারায়ণ গোস্বামী মন্তব্য করেন, বারাসতের বিধায়ককে তো দেখাই যায় না৷ এবার সেই মন্তব্যেরই জবাব দিয়েছেন বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক৷
আরও পড়ুন: ইডেন গার্ডেন্সের ভিতরে ঝুলন্ত দেহ! কাজের খোঁজে আসা মালি পুত্রের মর্মান্তিক পরিণতি
advertisement
অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়কের নাম না করেই চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘সে অশোকনগর নিয়ে যত না ব্যস্ত, তার থেকে বারাসত নিয়ে বেশি ব্যস্ত৷ শুনেছিলাম গতবারই আমার জায়গায় বারাসতে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল৷ কিন্তু মমতা আমাকে টিকিট দিয়ে দিয়েছিল বলে দাঁড়াতে পারেনি৷’
এখানেই না থেমে চিরঞ্জিৎ আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় কারও অ্যাম্বিশন থাকতে পারে ঐশ্বর্যকে বিয়ে করবে, গাছে উঠবে, পাহাড়ে উঠবে৷ সেই অ্যাম্বিশন থাকতেই পারে৷’
যদিও চিরঞ্জিতের এই কটাক্ষের জবাব দিতে চাননি অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক৷ নারায়ণ গোস্বামীর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া কমিটির বৈঠক ছিল৷ সেখানে দলের উচ্চতর নেতৃত্ব, ‘জেলার বিধায়করা হাজির ছিলেন৷ চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী স্বক্ষেত্রে স্বনামধন্য, প্রতিষ্ঠিত৷ কিছু বলার থাকলে পরের বৈঠকেই বলব৷’
তবে এই ঘটনায় স্বভাবতই উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে৷ শাসক দলকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতাদের দাবি, পরবর্তী নির্বাচনেও এর ফল টের পাবে তৃণমূল নেতৃত্ব৷