ভাঙড় ২ ব্লকের বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, যারা সব্জির চাষ করছেন তাঁরা এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। কবে কালবৈশাখির কারণে বৃষ্টি নামবে। যারা পাম্প সেট বা শেলো মেশিনের জলে চাষ শুরু করেছেন, তাঁদের জমিও ফুটিফাটা হয়ে আছে। আম,জাম, কাঁঠাল, লিচু সব ফলই ঠিকমত পুষ্টি পাচ্ছে না বৃষ্টির অভাবে।
advertisement
কৃষি প্রধান ভাঙড়ে ভগবানপুর, শানপুকুর, ভোগালি, শাঁকশহরের উর্বর জমিতে ফি বছর ব্যপক সব্জির চাষ হয়। এই গরমেও মাঠ জুড়ে উচ্ছে, পটল, ঢেঁড়স, কুমড়ো, লাউ, চিচিঙ্গা খেলা করছে। যদিও বৃষ্টির অভাবে আর মাত্রারিক্ত গরমে বেশিরভাগ গাছই শুকিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: টানা ৫৭ দিন বৃষ্টি নেই, চাষিরা মাঠেই নষ্ট করছেন 'এই' সবজি! দাম কি কয়েকগুণ বাড়বে?
এদিকে, দাবদাহের জ্বালায় কৃষি শ্রমিকের অভাব দেখা দিয়েছে বর্ধমান জেলা জুড়ে। এই গরমেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছু শ্রমিক বাধ্য হয়ে বোরো ধান কাটার কাজ করছে। পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে এখন বোরো ধান পাকা অবস্থায় আছে। কালবৈশাখীর আতঙ্কে জমি মালিকরা বেশি দাম দিয়ে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাচ্ছে। রোদে তাপ উপেক্ষা করেই চলছে বোরো ধান কাটা। কৃষি শ্রমিকরা ধান কাটার কাজে নামলেও রোদের তাপে তাদের অবস্থা নাজেহাল। বৈশাখের প্রখর রোদে দাবদাহের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ ছায়া খুঁজছে। কাজের অবসরে রোদের জ্বালা থেকে বাঁচতে কেউ ট্রাক্টরের নিচে আবার কেউ গাছের তলায় আশ্রয় নিয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোদের তাপেই কৃষি শ্রমিকদের কাজ করতে হচ্ছে । বেলা এগারোটাতে মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না বলে কৃষি শ্রমিকদের দাবি। এর আগে রোদ-গরম অনেক দেখেছে এবারের মত তীব্র রোদের হলকা আগে কখনও অনুভব করেননি। বৃষ্টি না হলে মাঠে আর কাজ করা যাবে না বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা।