একাধারে রাজ্য সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য যখন একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টির যোগান দিতে স্কুলে উন্নত মানের মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পুরুলিয়ার চকলালপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল বিমুখ হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, কাজের জন্য অভিভাবকেরা ভিন জেলাতে পাড়ি দিচ্ছেন ফলত ছাত্র-ছাত্রীরাও বাবা-মায়ের সঙ্গে ভিন জেলায় চলে যাচ্ছেন আর সেই কারণেই প্রতিনিয়ত এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকছে। গ্রামের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবার বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলী সহ বিভিন্ন জেলায় চলে গিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মেসি বনাম রোনাল্ডো ম্যাচের একটি টিকিটের দাম ২৬ কোটি, ভাঙতে চলেছে সব রেকর্ড
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, কয়েকটি বাড়ি নিয়ে গঠিত এই গ্রামটি। জনসংখ্যা তুলনামূলক কমই রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় প্রতি বছরই ছাত্র-ছাত্রী কমতে থাকে এই বিদ্যালয়। এবছরে ছাত্র-ছাত্রী কমে যাওয়ার সংখ্যাটা একটু বেশি রয়েছে। গ্রামেরই এক বাসিন্দা জানান, কাজের অভাব থাকার কারণে অনেকেই ভিন জেলাতে পাড়ি দিচ্ছেন। তাই গ্রামের শিশুদের সংখ্যাও কমে গিয়েছে। গ্রামের প্রায় অর্ধেক মানুষ চলে গিয়েছে ভিন জেলায়। গ্রামে যথাযথ কর্মসংস্থান থাকলে কাজের জন্য কাউকেই এই গ্রামের বাইরে যেতে হতো না। পরিযায়ীদের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে শিশুদের কৈশর। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ। জেলার কর্মসংস্থান কবে বাড়বে? সেই দিকেই তাকিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
Sarmistha Banerjee