সঙ্গে সঙ্গে সাপটিকে ধরে একটি টিফিন কৌটায় ভরে নিয়ে শিশুকে নিয়ে সরবেড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে নিয়ে আসেন তার পরিবারের লোকজন। সেখানে তার বাম হাতের উপর কেটে পাথর বসান সেই সংগঠনের সদস্যরা।
পরিবারের বিশ্বাস এই পাথর বসালে শিশুটি সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু যত সময় গড়ায় শিশুটি তত নিস্তেজ হয়ে পরে। তখনি ঐ সংস্থা তাঁদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে ১৪টি এভিএস চালু করে দেন। শিশুটির অবস্থা এখন স্থিতিশীল। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে শিশু বিষেশজ্ঞ ডাঃ গৌতম মন্ডল জানান, ‘‘একবিংশ শতকে এসে মানুষ এখনো ওঝা, গুণিন ও পাথর বসানোতে বিশ্বাস করেন, এটা ভাবতেও পারিনা। ক্যানিং যুক্তিবাদী সংস্কৃতি সংস্থা, তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় বিভিন্ন এলাকায় যে ভাবে এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করছে তারপরেও এই ঘটনা ঘটছে ভাবা যায় না।’’
advertisement
গত কয়েক মাস আগে এই সংস্থাকে নিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে একটি শিবির করেছে ৷ কিন্তু তাতেও যে মানুষের কোনও হুঁশ ফেরেনি, আজ ফের তা প্রমাণ হল। যথেষ্ট সময় নষ্ট করে এই শিশুটিকে নিয়ে আসেন পরিবার। ৭২ ঘন্টা না গেলে তাকে বিপদ মুক্ত বলা যাবে না বলে জানান ওই চিকিৎসক।
এই দিকে শিশুটির দিদিমা জানান, ‘‘আমাদের ভুল হয়ে গিয়েছে, আমরা পাথর না বসিয়ে সোজা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে আরও ভালো হতো।’’