ইতিমধ্যেই চার অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাত দিন নিখোঁজ থাকার পর নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় গত সোমবার সন্ধ্যায়। ফরাক্কা ব্যারেজের ৯নং ব্লকের আবাসনের বাসিন্দা ছিল সে। কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ফরাক্কার নিশিন্দ্রা নৌকা ঘাটের পাশে ফিডার ক্যানেলের ধারে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কুয়াশায় মোড়া উত্তর, দক্ষিণে বদলাচ্ছে আবহাওয়া, ঘণ্টাখানেকেই বৃষ্টি শুরু জেলায় জেলায়
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নাবালকের নাম পাপাই দাস। বাড়ি ফরাক্কার ব্যারেজ আবাসনে। মৃত নাবালকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় পাপাই। তারপর থেকে আর খোঁজ মিলছিল না পাপাইয়ের। বহু খোঁজাখুঁজির পর ১১ তারিখ ফরাক্কা থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন নাবালকের মা। গত সোমবার বিকালে ফরাক্কার নিশিন্দ্রা নৌকা ঘাটের পাশে ফিডার ক্যানেলের ধারে এক নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ফরাক্কা থানার পুলিশ। তারপর ফরাক্কা অবাসনের নাবালকের মাকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ চিহ্নিত করণ করার জন্য। নিখোঁজ পাপাইয়ের মা উদ্ধার হওয়া নাবালক তার ছেলে বলে চিহ্নিত করে বলে জানা যায়।
পুলিশের প্রাথমিক ভাবে অনুমান, মোবাইল গেম ও ফ্রি ফায়ার গেমের প্রতি ছিল তার আকৃষ্ট। সারাদিন এই গেম খেলতেন। আর সেই গেম খেলা নিয়ে চার বন্ধুর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে পাপাই। গেমের হ্যাকিং জেরেই বিবাদ তৈরি হয়। তারপরেই তাকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
মৃতের চার বন্ধুকে জেরা করতে শুরু করে পুলিশ। তাদের বক্তব্যে অসংগতি ধরা পড়ে। এরই মাঝে সোমবার ঘোড়ায়পাড়া-নিশিন্দ্রা নৌকো ঘাটের মাঝে ৮ নম্বর ব্লকের ফিডার ক্যানেলের ধারে জঙ্গলের মধ্যে এক নাবালকের দেহ পরে থাকার খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। দেখা যায়, দেহের নিম্নাংশ নেই। ক্ষতবিক্ষত মুখ। বুকে লেখা ‘ডোরেমন’ দেখে পরিবার শনাক্ত করে যে দেহটি পাপাইয়ের। এর পরই প্রকাশ্যে আসে হাড়হিম করা তথ্য।হাড় হিম করা ঘটনা সামনে আসতেই আতঙ্কিত ফরাক্কার বাসিন্দারা। এই ঘটনায় চার নাবালক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ফরাক্কা থানার পুলিশ।
মনোরোগ চিকিৎসক জানিয়েছেন, বর্তমানে কিশোর ও যুব সমাজ মোবাইল গেমের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। পরিবারের বাবা মা কে বলব, তাদের সন্তানকে সময় দিন। মোবাইল গেম থেকে দুরে রাখুন। অতিরিক্ত মোবাইল গেম খেললে চূড়ান্ত ভয়ঙ্কর পরিনতি যে কোনও সময় হতে পারে।
কৌশিক অধিকারী