একদিনের এই দাবার আসর আয়োজন করে কোলাঘাটের শিশু উৎসব কমিটি। কোলা ইউনিয়ন হাইস্কুলে এই দাবার আসর বসে। এই প্রতিযোগিতায় রাজ্যের দশটি জেলার মোট ২০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। অনূর্ধ্ব ১৭ বয়সীদের নিয়ে পাঁচটি বিভাগে এই দাবার প্রতিযোগিতা চলে। বর্তমান সময়ে ভারতবর্ষে ক্রিকেট অত্যন্ত জনপ্রিয়। এর পাশাপাশি অন্যান্য খেলাধূলাতেও ব্যক্তিগতভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে ছাপ রাখছে বিভিন্ন খেলোয়াড়েরা। সম্প্রতি ডি গুকেশ বিশ্বদাবা চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
advertisement
দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন সম্পর্কে জেলা আয়োজকেরা জানান, যেভাবে ছাত্র ও যুবসমাজ মোবাইলের প্রতি আবদ্ধ হচ্ছে। তা সমাজের ক্ষতিকারক দিক। মোবাইলের প্রতি আবদ্ধ হওয়া থেকে বের করে আনতে তাদের এই প্রয়াস। এই দাবা প্রতিযোগিতায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ২০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে। এই টুর্নামেন্টের মূল লক্ষ্য হল জেলায় দাবা প্রসার ঘটনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের দাবার প্রতি আকৃষ্ট করা। আগামী দিনে ডি গুকেশের মত দাবাড়ুরা উঠে আসবে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।’
আরও পড়ুনঃ IND vs AUS: অবসরের দিন ঠিক করে ফেলেছেন রোহিত শর্মা! ভারত অধিনায়ক নিয়ে বড় আপডেট!
প্রসঙ্গত,বর্তমান সময়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মোবাইলের প্রবণতা বাড়ছে। এরপরে ছাত্র-ছাত্রীদের বুদ্ধিমত্তা ও একাগ্রতা কমছে শিক্ষা গ্রহণে। অথচ দাবা খেলা বুদ্ধিমত্তা ও একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই বর্তমান প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় বুদ্ধিমত্তা ও একাগ্রতা বজায় রাখতে দাবা খেলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার উদ্যোগ গ্রহণ হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এর পাশাপাশি দাবা খেলাকে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এই দাবা প্রতিযোগিতার আসর আয়োজন করা হয়েছে।
সৈকত শী