২০১৬ সালে ন্যাশনালে সিলভার দিয়ে শুরু, তারপর একাধিকবার ন্যাশনাল ও কমনওয়েলথে সোনা জয়। এশিয়ানে সিলভার, ভারত সরকারের তরফ থেকেও ৮ বার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার জন্য স্নেহাকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। কথাগুলো বলছিলেন স্নেহার প্রথম শিক্ষাগুরু ও বাবা ভগীরথ হালদার। তিনি নিজেও একজন চেস(দাবা) পাগল মানুষ। মেয়ে স্নেহাকে দাবার কোচিং দেওয়ার জন্য এখনও নিয়মকরে নানা ধরনের বই পড়া থেকে খেলার বিষয়ে চর্চা চালিয়ে যান। খোঁজ রাখেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের দাবারুদের হাল-হকিকতের। তবে স্নেহার এখন লক্ষ্য বাংলার গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে আরও দূরে এগিয়ে যাওয়ার।
advertisement
মেয়ের রাজা, মন্ত্রী, গজ, নৌকার দুনিয়ায় ৬৪ খোপের লড়াই এর সঙ্গে, বাবা ভগীরথ হালদারও যেন লড়াই চালাচ্ছেন দাবার বোর্ডে, প্রতিপক্ষ জীবন, দারিদ্রতা। স্নেহা হালদারের স্বপ্ন পূরণের জন্য এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে, বিদেশে খেলা রপ্ত করার জন্য পাড়ি দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আর্থিক সমর্থ্য জুগিয়ে উঠতে যেন হিমশিম খান হার না মানা স্নেহার দাবার কোচ, তার বাবা। তাই স্পন্সরশীপ মিললে নেহা ও ভগীরথ হালদারের এই যুগলবন্দি লড়াই বাংলার মুকুটে আরও বড় কোন পালোক যোগ করতে পারে।
এদিন, হাবরা চেস এসোসিয়েশনের ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে অন্যান্য খুদে খেলোয়াড়দের স্নেহার মতোই এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন কোচ ভগীরথ হালদার। স্নেহাও ছোট ছোট দাবার শিক্ষানবিশদের দিলেন টিপস। আগামী দিনে যাতে স্নেহার মতো বাংলার ছেলে মেয়েরাও দাবায় এগিয়ে যেতে পারে সেই পথই দেখাচ্ছেন কোচ ভগীরথ হালদার। স্নেহাও যেন দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাবার সেই স্বপ্ন পূরণে।
Rudra Narayan Roy