এই প্রথম শীতের শুরুতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখির দল এসেছে কালনার ছাড়িগঙ্গায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জলাশয়ে এসেছে গ্রে হেডেড শ্যাম্পেন, কটনটিল, পারপেল শ্যাম্পেন, ব্রোঞ্চ উইন জাকানা, লেসার হুইসেলিং ডার্ক, কমনকুট, ওপেন বিল স্টক, পন্ড হেরন, গ্রিন বি ইটার-সহ অন্তত ১৫টি প্রজাতির পাখি। সংখ্যায় বেশি রয়েছে লেসার হুইসেলিং ডার্ক।
advertisement
শিবপ্রসাদবাবু জানান, নতুন ঠিকানায় যাওয়ার আগে পরিযায়ীরা দেখে নেয় সেখানে নিরাপত্তা ও খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে কিনা। কালনার ছাড়িগঙ্গায় এই দু'টি থাকায় তারা নিরাপদ বোধ করছে। প্রচুর পাখি আসায় এই এলাকা নিয়ে বড় কিছু পরিকল্পনা করা যায় কিনা, তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরসঙ্গে আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন : বছরের প্রথম দিন রেকর্ড ভিড়! পিকনিকের ধুম লেগে গিয়েছে নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায়
পরিদর্শনে আসা প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন দুই বন সহায়ক রাজেন চন্দ ও সৌম্য ঘোষ, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিধান বিশ্বাস, কালনার উপ পুরপ্রধান তপন পোড়েল, কালনা উপ-সংশোধনাগারের আধিকারিক অর্পণজ্যোতি চক্রবর্তী এবং হাটকালনা পঞ্চায়েতের প্রধান শুভ্র মজুমদার।
আরও পড়ুন : সন্তানের জন্ম দিলে যদি কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়, কখনও আফসোস করব না : অকপট আলিয়া
দূরবীনের সাহায্যে তাঁরা ছাড়িগঙ্গার বিভিন্ন জায়গা থেকে পাখিদের গতিবিধি লক্ষ্য করেন। জলাশয়টি কত লম্বা, তার পরিবেশ, কেন এই জলাশয় পাখিদের আকর্ষণ করেছে, পাখিদের কেউ উত্ত্যক্ত করছে কিনা, এমন নানা বিষয় অনুসন্ধান করেন তাঁরা। পাখিদের বিশ্রাম নেওয়ার মতো লম্বা গাছ ছাড়িগঙ্গার পাশে খুব একটা নেই। বর্ষার আগে কিছু গাছ সেখানে লাগানো হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।