অভিযোগ, ২০০০ সালে বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে সিপিআইএমের সুপারিশে তৎকালীন কংগ্রেস পুরবোর্ড ৩০ জনকে নিয়োগ করে বলে অভিযোগ৷ তারা সকলেই ক্যাজুয়াল স্টাফ ছিলেন৷ অধিকাংশই অবশ্য অবসর করে গিয়েছেন৷ যারা এখনও কর্মরত তাদের মধ্যে জয়দেব দাস ও সাবির আহমেদ জানান সরকারি নিয়ম মেনেই তাদের এই নিয়োগ হয়েছিল৷ কোনও দুর্নীতি হয়নি। জয়নগর মজিলপুর পুরসভার তৎকালীন পুরপ্রধান প্রশান্ত সরখেল৷ কুণাল ঘোষের তোলা অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি ৷
advertisement
আরও পড়ুনঃ আছড়ে পড়ল কালবৈশাখী! শুরুর আগেই উল্টে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির তাঁবু
২০২২ সালে এ বারই প্রথম পুরবোর্ড নিজেদের দখলে নিয়ে আসে তৃণমূল৷ বর্তমান পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার অবশ্য জানান, এই বিষয় নিয়ে তার কিছু জানা নেই৷ দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, অভিযোগ করেছেন তা খতিয়ে দেখা হোক বলে জানিয়েছেন তিনি৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সিপিএম৷ জয়নগর সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য পুলক বসু পাল্টা কুণাল ঘোষের প্রতি কটাক্ষ ছুঁড়ে বলেছেন তিনি যেন পড়াশুনো করে যে কোনও বিষয়ে কথা বলেন ৷
একই সঙ্গে তার বক্তব্য কোনও দুর্নীতি হলে তার তদন্ত হোক৷ সিবিআই, ইডি যে কোনও তদন্ত হলেও তাদের কোনও সমস্যা নেই৷ এই বিষয়ে সিপিআইএম নেতা পুলক বসু আরও বলেন, বর্তমানে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হচ্ছে। তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সরকার জড়িত এটাই পরোক্ষভাবে স্বীকার করলেন কুণাল ঘোষ৷ স্বাধীনতার পর থেকে জয়নগর মজিলপুর পুরসভা কোনওদিন বামেদের দখলে ছিল না বলেও জানান তিনি৷ এ বিষয়ে তদন্তে চেয়ে আদালতে যাওয়া উচিত৷
সুমন সাহা