আরও পড়ুনঃ বারুদের মধ্যে মৃতদেহের স্তূপ! প্রিয়জনদের হারানোর হাহাকার, হাড়হিম সব ছবি…
বাঁকুড়ার খাতড়ার সৌম্য সেনগুপ্ত চন্দ্রযানের জন্য ‘অনবোর্ড প্রসেসর’ বা রকেটে থাকা কম্পিউটার চিপ তৈরি করেছেন। এই চিপগুলির মূল কাজ হল রকেটের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা। চন্দ্রযান ২ এবং চন্দ্রযান ৩ এই দুই মিশনেই জড়িয়ে রয়েছে সৌম্যর পরিশ্রম। বর্তমানে সৌম্য তাঁর মা, স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে চণ্ডীগড় থাকেন।
advertisement
সৌম্যর এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পুরো খাতড়া মহকুমার বাসিন্দারা। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সৌম্য খাতড়ার কংসাবতী শিশু বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও দুর্গাপুর এ-জোন বয়েজ হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর স্নাতক ডিগ্রি শেষ করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরবর্তীতে ধানবাদের ‘ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইনস’ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরেই গবেষণার কাজ শেষ করেন ‘আইআইটি’ খড়্গপুরে। পরে পোস্ট ডক্টরেট করতে সূদর আমেরিকাতেও পাড়ি দেন তিনি। তবে তাঁর ক্যানসার আক্রান্ত বাবার আকস্মিক মৃত্যুতে তার বিদেশের ডিগ্রি তিনি শেষ করতে পারেননি। পরবর্তীতে ভারতে ফিরে ২০১৬ সালে যোগদান করেন চণ্ডীগড় ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় থাকা ওই সংস্থাতে।
ছোটবেলা থেকেই সোম্য শান্ত প্রকৃতির। সৌম্যের এই সাফল্যে খুবই উচ্ছ্বসিত পরিবারের লোকজন, তাঁর স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে ছোট ছোট ছাত্র – ছাত্রীরা।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী