জানা গিয়েছে, নিহত ওই তরুণী একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার ছিলেন৷ রবিবার রাতে গয়ার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গাড়িতে রওনা দেন সুতন্দ্রা সহ ওই সংস্থার আরও তিন জন কর্মী৷ অভিযোগ, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল সুতন্দ্রাদের গাড়ি৷ সুতন্দ্রাদের গাড়ির চালকের দাবি, পানাগড়ের কাছে একটি পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে দাঁড়ায় তাঁদের গাড়ি৷ এর পরই অন্য একটি গাড়ি তাঁদের গাড়ির পিছু নেয় বলে অভিযোগ৷
advertisement
অভিযোগ, সুতন্দ্রাদের গাড়ি ধাওয়া করে যে গাড়িটি, তাতে পাঁচ জন যুবক ছিলেন৷ গাড়ি থেকে সুতন্দ্রাদের গাড়ির উদ্দেশ্যে কটূক্তি করতে থাকে পাঁচ মদ্যপ যুবক৷ এমন কি, দু বার পিছন থেকে ওই গাড়িটি সুতন্দ্রাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে বলেও অভিযোগ৷ এর পরই সার্ভিস রোড ধরে গাড়ি নিয়ে দ্রুত দার্জিলিং মোড়ের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু পিছু নেওয়া গাড়িটি সুতন্দ্রাদের গাড়িটিকে ওভারটেক করে সামনে পথ আটকে দাঁড়ায়৷ তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুতন্দ্রাদের গাড়িটি উল্টে যায় বলে অভিযোগ৷ দুর্ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সুচন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় নামে ওই তরুণী৷ চালকের পাশেই বাঁদিকের আসনে বসেছিলেন সুতন্দ্রা৷
সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় নামে ওই তরুণীর দুই পুরুষ সহকর্মীও এই দুর্ঘটনায় আহত হন৷ এই দুর্ঘটনার পরই অভিযুক্তরা নিজেদের গাড়ি ফেলে পালায়৷
এত কিছুর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ৷ দুটি গাড়িই বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ যদিও অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি৷ জানা গিয়েছে, ঘাতক গাড়িটি পানাগড় এলাকারই৷ সুতন্দ্রার আহত দুই সহকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ মৃত তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ শিউরে ওঠার মতো এই ঘটনায় জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে৷ ব্যস্ত জাতীয় সড়কের উপরে একটি গাড়ি অন্য একটি গাড়িকে ধাওয়া করে বার বার ধাক্কা মারলেও কেন তা পুলিশের কোনও টহলদারি দলের চোখে পড়ল না, সেই প্রশ্ন উঠছে৷