যতদিন গিয়েছে সংবাদপত্রের জায়গা দখল নিয়েছে ডিজিটাল মাধ্যম। আগে বিভিন্ন রেল স্টেশনে ভোর হতেই দেখা যেত খবরের কাগজ নিয়ে ভেন্ডারদের তাড়াহুড়ো। সেই কাগজ পৌঁছে যেত মানুষের ঘরে ঘরে। আগে পাড়ার মোড়ে, সেলুনে, চায়ের দোকানে, মানুষ খবরের কাগজ হাতে নিয়ে বসতেন। তবে এখন চিত্রটা কিছুটা বদেছে। মানুষ বিভিন্ন সমাজমাধ্যম যেমন ইউটিউব, ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তাতেও পরিবেশন করা হচ্ছে সংবাদ। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় সংবাদমাধ্যমের বিবর্তনকে তুলে ধরেছে লিচুতলা জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি।
advertisement
গুটি গুটি পায়ে তারা এ বছর ৮৬’তম বর্ষে পা দিয়েছে। মণ্ডপে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে স্টেশনে ভেন্ডারদের ব্যস্ততা। সেই সমস্ত আজ অতীত। মণ্ডপের দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে সাইকেল। আগে ভোর হলেই তাতে চেপে ঘণ্টা বাজিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যেত খবরের কাগজওয়ালা। মণ্ডপের চারিপাশে বিভিন্ন সংবাদপত্রের টুকরো কোলাজ তুলে ধরেছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
পুজোর সদস্য অনির্বাণ মুখার্জি, শিল্পী তন্ময় হাজরা বলেন,’খবরে কাগজের মাধ্যমে মানুষ সংবাদ সংগ্রহ করতেন কিন্তু এখন মানুষের হাতে পৌঁছে গিয়েছে স্মার্টফোন। পৃথিবীর সমস্ত সংবাদ এখন এক ক্লিকেই পেয়ে যাচ্ছে মানুষ। আমরা মণ্ডপে সেই বিবর্তনের বিষয়টাকে তুলে ধরেছি। সাইকেল চেপে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যেতেন তারা। এখন সংখ্যাটা অনেক কমেছে। আগের থেকে মানুষের সংবাদপত্র পড়ার সংখ্যাও কমছে। ভেন্ডারদের মধ্যে ব্যস্ততা কমেছে। কমেছে তাদের রোজগার। মানুষের হাতে সময় কমেছে তাই অনেকেই সংবাদপত্র পড়াও কমিয়েছেন। যদিও আগে একটা খবর পেতে অনেক দেরি হতো। কিন্তু এখন সঙ্গে সঙ্গেই আমরা পেয়ে যাচ্ছি’।
